জেল পালাতে পুলিশকেই আমোদের আমন্ত্রণ, আসর জমতেই উধাও গ্যাংস্টার

আজ বিকেল: কোনওদিন শুনেছেন খানাপিনার লোভে বিচারাধীন বন্দিকে আদালত থেকে জেলে ফেরত না পাঠিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ?শোনেননি তো, না শুনলেও সত্যিকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। হোটেলে বিনামূল্যে খানাপিনার এলাহি আয়োজন দেখে আমোদে মত্ত হয়ে পড়েছেন ছয় পুলিশকর্তা, আর সেই সুযোগেই সেখান থেকে ভোঁ কাট্টা অপরাধী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে যোগীর রাজ্যে। ঘটনাস্থল গাজিয়াবাদ। ইতিমধ্যেই পলাতক

জেল পালাতে পুলিশকেই আমোদের আমন্ত্রণ, আসর জমতেই উধাও গ্যাংস্টার

আজ বিকেল: কোনওদিন শুনেছেন খানাপিনার লোভে বিচারাধীন বন্দিকে আদালত থেকে জেলে ফেরত না পাঠিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ?শোনেননি তো, না শুনলেও সত্যিকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। হোটেলে বিনামূল্যে খানাপিনার এলাহি আয়োজন দেখে আমোদে মত্ত হয়ে পড়েছেন ছয় পুলিশকর্তা, আর সেই সুযোগেই সেখান থেকে ভোঁ কাট্টা অপরাধী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে যোগীর রাজ্যে। ঘটনাস্থল গাজিয়াবাদ। ইতিমধ্যেই পলাতক বন্দির দায়িত্বে থাকা ছয় পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভোটের আগে এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

জানা গিয়েছে, পলাতক অপরাধী একজন গ্যাংস্টার। সে বহুবার জেলে গেলেও প্রমাণের অভাবে বেরিয়ে এসেছে। প্রথমবার আইনজীবী হত্যার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সেবারও প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যায়। বাইরে বেরিয়ে একের পর খুন, রাহাজানি, তোলাবাজি-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়ায় বাড্ডোর। আদালত তাকে যাবজ্জীবনের সাজাও শুনিয়েছে। আগে মেরঠের জেলে তাকে রাখা হয়েছিল, ফের ফন্দি করে পালাতে পারে তাই সেখান থেকে ফতেপুর জেলে তাকে বদলি করা হয়। ফতেপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে গাজিয়াবাদ আদালত কাছে। আজ সেখানেই বাড্ডোর শুনানি ছিল। আদালতে আনার সময় বাড্ডো যাতে কোনওভাবেই পালাতে না পারে সেজন্য ছয় দক্ষ পুলিশ অফিসারকে তার সঙ্গে দেওয়া হয়। সেই পুলিশ অফিসাররা এমন কুখ্যাত অপরাধীর কথায় কীকরে ভুললেন তানিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিন আদালতে যাওয়ার আগেই পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার ফন্দি আঁটে বাড্ডো। জেলের বাইরের কয়েকজনও তাকে এব্যাপারে সহযোগিতা করেছি বলে মনে করা হচ্ছে। কখন যে পুলিশকর্তাদের খানাপিনার আমন্ত্রণ জানালো তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুনানির পরে বাড্ডোকে নিয়ে তাই ফতেপুর জেলে না গিয়ে গাজিয়াবাদের এক হোটেলে ওঠে পুলিশ। সেখানেই ছিল আমোদের আয়োজন, পুলিশকর্তারা খানাপিনায় বিভোর হতেই পালিয়ে যায় গ্যাংস্টার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর পের যোগীর প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুখ পুড়েছে।বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে, সেই দলই ফতেপুর জেলে গিয়ে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *