নয়াদিল্লি: দীর্ঘ জল্পনায় জল ঢেলে এই প্রথম দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানা গিয়েছে, আজ দুপুর দেড়টায় নর্থ ব্লকে বৈঠকে করবেন অমিত-মমতা৷ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর আজ বৃহস্পতিবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নর্থ ব্লকে এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর৷
ইতিমধ্যেই এই বৈঠক ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক খোঁচা দিতে শুরু করেছেন বিরোধীরা৷ বুধবার দিল্লিতে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা হয়েছে৷ বীরভূমের কয়লা ব্লকের অনুমোদন পেয়েছি আমরা৷ সেই কারণে উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি৷ এটা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়৷ পুরোপুরি সরকারি কর্মসূচি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখব, যদি তিনি সময় দেন৷’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘সন্দেহের অবকাশ রয়েছে৷ কৌতূহল রয়েছে৷ সন্দেহ রয়েছে আমাদের৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য তিনি আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন৷ সেখানে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি৷ কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নের জন্য হঠাৎ কেন তিনি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ সিবিআই যখন রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে চাইছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ কেন উন্নয়নের জন্য ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে? তা নিয়ে আমাদের কৌতুহল থাকবেই৷ আর উন্নয়ন নিয়ে যদি আলোচনায় হয়ে থাকে তাহলে হঠাৎ কেন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন৷ প্রধানমন্ত্রী কি মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের কাছে রেফার করে দিলেন৷ বললেন, আমার দ্বারা কিছু হবে না৷ যা দেখার অমিত শাহ দেখছেন৷ বাংলার আইন-শৃংখলার খুব তো একটা অবনতি হয়নি৷ জঙ্গিহানাও হয়নি৷ তাহলে হঠাৎ কেন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন? এই নিয়ে আমাদের কৌতুহল ও সন্দেহ থাকছে৷’’
পাল্টা দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীও৷ জানিয়েছেন, ‘‘বাংলার মানুষকে এতই বোকা, তাঁরা কি কিছুই বোঝেন না, কোনটা সরকারের সঙ্গে সরকারের বৈঠক আর কোনটা নিজেদের বাঁচানোর বৈঠক৷ রাজীব কুমারকে নিয়ে যখন সিবিআই টানাপোড়েন চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ কেন ছুটে গেলেন প্রধানমন্ত্রী দরবারে? আবার তিনি কেন বলছেন, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন? পেছনে কী রহস্য রয়েছে? তা অবশ্যই আমাদের জানা দরকার৷’’