নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের ৩ টি কৃষি আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকেই অশান্তির পরিবেশে ছিল দেশের রাজধানী দিল্লি। রাজধানীর ৩ সীমান্তের একাধিক এলাকায় পুলিশ-কৃষক ধুন্ধুমার হয়েছে। বেলা গড়াতে পরিস্থিতি গেছে হাতের বাইরে। আর দেশের রাজধানীতে এমন অশান্তির বাতাবরণ ভাবিয়েছে দেশের সুরক্ষাকে। এই নিয়ে দিল্লিতে একটি উচ্চপদস্থ বৈঠকের আয়োজন করা হয় তড়িঘড়ি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনার খাতিরে এই বৈঠক ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গৃহ মন্ত্রালয়ের সচিব অজয় ভাল্লা এবং দিল্লি পুলিশের কমিশনার এস.এন. শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবার এই বৈঠকে প্রথমেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজধানী দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন ও হিংসা ছড়ানোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয় দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। দিল্লি পুলিশ এদিন এও জানায় যে, দিল্লি সীমান্তে তাদের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙে ক্ষিপ্র কৃষকরা দিল্লি শহরের কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং পুলিশের উপর চড়াও হয়। সূত্রের খবর, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই বৈঠকে দিল্লির সুরক্ষার ব্যাপারে বড় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তরফে। এও অনুমান করা হচ্ছে যে এই মুহূর্তে রাজধানীর হাল-হকিকত ফিরিয়ে আনার জন্য প্যারা-মিলিটারিবাহিনীও নামানো হতে পারে দিল্লি শহর সহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। হিংসা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে দিল্লি সীমান্তে ইন্টারনেট পরিষেবা রদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যখন গোটা দেশ ৭২ তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করছিল, তখন দিল্লির ৩ সীমান্ত থেকে লক্ষাধিক কৃষক একটি মেগা ট্রাক্টর র্যালি করে কৃষি আইনের প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে শুরু করেছিলেন দিল্লির দিকে। বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি অশান্ত হতে থাকে রাজধানী সীমান্তে। এলাকায় এলাকায় পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষ বাঁধে, ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, হয় লাঠিচার্জ, আর এসবের প্রতিবাদের তরোয়াল নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হতেও দেখা যায় কৃষকদের। শেষ পর্যন্ত কিছু কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে লালকেল্লা পৌঁছে সেখানে তাদের হলুদ পতাকা স্থাপন করার চেষ্টাও করে। দীর্ঘ দুঘন্টার প্রচেষ্টায় লালকেল্লা চত্বর দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। এসবের মাঝেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে এমন বিশেষ দিনে দেশের রাজধানীতে সুরক্ষার বিষয়ে। আর তাই সে বিষয়ে আলোচনার জন্য তড়িঘড়ি বৈঠক সারলেন অমিত শাহ। এবার সিদ্ধান্তে কি উঠে আসে সেটাই দেখার বিষয়।