নয়াদিল্লি: ‘‘সমস্যা যখন চরম হয়, তখন চরম সমাধানেরও প্রয়োজন হয়৷’’ ভারত-চিন সীমান্তের সমস্যা একটি পরিচিত অধ্যায় হলেও, এই সমস্যা অত্যন্ত গম্ভীর৷ এমনকী মধ্যপন্থী মিডিয়াগুলিও স্বীকার করে নিয়েছে ১৯৬২ সাল থেকে ভারত-চিনের এই সামরিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য চরম ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন৷ প্রয়োজন এক নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর৷ সম্প্রতি দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে৷
ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, একাধিক কূটনীতিক বিশেষজ্ঞের মতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সর্বাধিক জাতীয় সুরক্ষা উল্লেখজনকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ এর অন্যতম কারণ হল আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব বর্তেছে একের পর এক দুর্বল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হাতে৷ এই তালিকায় রয়েছেন এ.কে অ্যান্টনি (চটজলদি ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ), অরুণ জেটলি (পার্ট টাইম), মনোহর পরিক্কর (অসুস্থ, নিরুত্তাপ, ছাড়াছাড়া মনোভাব), নির্মলা সীতারমন এবং বর্তমানে রাজনাথ সিং৷
রাজনাথ সিং একসময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন৷ কিন্তু এখন আর সেই প্রতাপ নেই তাঁর৷ উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের উত্থান সুকৌশলে ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর একসময়ের আধিপত্য, গরিমা৷ কৃষ্ণ মেননের নজির নাই বা উত্থাপন করা হল, তবে অনেকেই একথা মানবেন যে, একজন দক্ষ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হাতে মন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে৷
আমাদের বর্তমান এই করুন পরিস্থিতিকেই সুযোগে বদলে দিতে হবে৷ গড়ে তুলতে হবে ‘নতুন ভারত’৷ এবং এই পরিস্থিতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি হলেন অমিত শাহ৷ তিনি অত্যন্ত কঠোর৷ এমনকী প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি কঠোর তিনি৷ সর্বোপরী নর্থ ব্লকের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সহজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভার সামানোর ক্ষমতা রাখেন অমিত শাহ৷
দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যেই ২০১৯ সালে বিজেপি’র ইস্তেহারে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালনের যোগ্যতা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর এই তেজ এবং সময় বিহারের ভার্চুয়াল ব়্যালির জন্য ব্যবহার না করে, সাউথ ব্লকের কাজের জন্য ব্যবহার করা উচিত৷ এদিকে, চিন যে ভাবে ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, তার সঠিক পথে মোকাবিলা করতে হবে৷ ভারতের দিকে হাত বাড়ানো শত্রুদের রোখার ক্ষমতা রাখেন অমিত শাহ৷