নয়াদিল্লি: নাগাল্যান্ডে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে বিরোধীরা বিরাট ভাবে আক্রমণ করছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই প্রেক্ষিতে আজ সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রথমেই ঘটনাকে বিরাট দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে নাগাল্যান্ডে গুলি চলেছিল। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হচ্ছে এবং খুব তাড়াতাড়ি ঘটনার খোলসা হবে।
বিরোধীরা ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানাচ্ছিল তারা। কার্যত সেই চাপে পড়েই আজ সংসদে নাগাল্যান্ড ইস্যুতে মুখ খুললেন অমিত শাহ। তিনি এই ইস্যুতে জানালেন, শনিবার রাতে খনি শ্রমিকদের গাড়িতে সেনা গুলি চালিয়েছিল তাদের জঙ্গি মনে করে। এরপর গ্রামবাসীরা অসম রাইফেলসের শিবিরে চড়াও হলে জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। সেখানেও একাধিক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় এবং একজন সেনার মৃত্যু ঘটে। গোটা ঘটনাকেই প্রচন্ড দুঃখজনক ব্যাখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করবে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাদের। প্রসঙ্গত, রাতের অন্ধকারে নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রাম থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে চেপে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। সন্ত্রাসবাদী ভেবে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গ্রামবাসীদের কথায়, নিহত গ্রামবাসীরা খনি থেকে কাজ সেরে রাতে ঘরে ফিরছিলেন৷ ইতিমধ্যেই আধাসেনার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ৷
তবে জানা গিয়েছে, ভুল গোয়েন্দা রিপোর্টের জন্য এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই রাস্তা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং সেই তথ্য পাওয়ার পরেই সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট সেখানে আগে থেকেই মোতায়ন করা হয়েছিল। এরপরে গুলি চালানোর আগে সেনারা গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে যখন দেখে তখন তাদের তথ্যের সঙ্গে ওই গ্রামবাসীদের গাড়ির এবং গ্রামবাসীদের বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। সেই প্রেক্ষিতে অভিযানে নিহতদের সংখ্যাও মিলে যায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে গোটা অভিযানটাই ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে হয়েছিল।