নয়াদিল্লি: বুথফেরত সমীক্ষায় জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিতের পর মঙ্গলবারই এনডিএর শরিকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ফলপ্রকাশের দু’দিন আগে এই নৈশভোজে গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সব সদস্যকেই ডাকা হচ্ছে। বিরোধীদের জোট বাঁধার তৎপরতার পাশাপাশি নিজেদের ঘর ঠিক রাখতে এই বৈঠক বলেই মনে করা হচ্ছে। বিরোধীরা এক্সিট পোলের ফল উড়িয়ে দাবি করছে, এনডিএ গরিষ্ঠতা পাবে না। অন্যদিকে, বিজেপির জোটসঙ্গী শিবসেনা সোমবার বলেছে, ২৩ মে পর্যন্ত বিরোধী জোট যে এক থাকবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। দেশ কোনও নড়বড়ে সরকার চায় না।
বাংলায় পদ্ম ফোটার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল একাধিক সংস্থার এক্সিট পোলে৷ একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির ঝুলিতে ন্যূনতম ১১ সর্বাধিক ২২টি আসন আসতে চলেছে। ভোট পরবর্তী এই আগাম ফলাফলে রীতিমতো উৎফুল্ল বঙ্গ বিজেপি।
প্রকৃত ফলপ্রকাশের তিনদিন আগেই এক্সিট পোলের ইঙ্গিতে বিজেপি শিবিরে উৎসব আর উচ্ছ্বাসের হাওয়া। তাবৎ বুথফেরত সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ফের বিপুলভাবে ক্ষমতায় ফিরছে মোদি সরকার। নরেন্দ্র মোদিই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। যদি প্রকাশিত এক্সিট পোলের গতিপ্রকৃতি আগামী ২৩ মে প্রকৃত ফলাফলেও প্রতিফলিত হয়, তাহলে প্রমাণিত হবে ২০১৪ সালের মোদি ম্যাজিকে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। সিংহভাগ সমীক্ষক সংস্থার ফলেই দেখা যাচ্ছে কয়েকমাস আগে যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এবং কংগ্রেস সরকার গঠন করেছে, সেই ৩ রাজ্যের ভোটাররাও কিন্তু লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদিকেই বেছে নিয়েছেন।