করোনা: এবার ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পরিষেবা বন্ধ করল অ্যামাজন

করোনা: এবার ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পরিষেবা বন্ধ করল অ্যামাজন

imagesmissing

নয়াদিল্লি: ইতিমধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে নিজেদের পরিষেবা সীমাবদ্ধ করেছে অ্যামাজন৷ এবার করোনা সংক্রমণ রুখতে ক্যাশ অন ডেলিভারি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল এই অনলাইন শপিং সংস্থা৷  

বৃহস্পতিবার সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখা একটি আবশ্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিষয়টি মাথায় রেখেই সাময়িকভাবে ক্যাশ অন ডেলিভারি পরিষেবা বন্ধ রখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামাজন৷ কেবলমাত্র অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেই জিনিসপত্রের অর্ডার নেওয়া হবে৷’’ গ্রাহকরা ইউপিআই, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড বা নেট ব্যাঙ্কিং, বা অ্যামাজন পে ব্যালেন্সের মাধ্যমে কেনাকাটি করতে  পারবেন৷

অ্যামাজনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমরা গভীরভাবে করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি৷ আমাদের গ্রাহক, বিজনেস পার্টনার এবং কর্মীদের উপর করোনার প্রভাব কতখানি, তা বিবেচনা করেই পণ্য পরিবহন, সরবরাহ এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে সংস্থার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷

তবে এখনও ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা মিলছে ফ্লিপকার্ট, জোম্যাটো, সুইগি, গ্রোফার্সের মতো ই-কমার্স সাইটে৷ পণ্য বরাত নেওয়ার সময় এই সকল সংস্থাগুলি বারবার গ্রাহকদের অনলাইন পেমেন্টের উপর জোর দিলেও, ক্যাশ অন ডেলিভারি পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি৷  তবে জোম্যাটোর সাইট খুললেই চোখে পড়ছে একটি বার্তা৷ যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘নগদ বিনিময়ের মাধম্যে খুব সহজেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েতে পারে৷ নিজেকে এবং সংস্থার ডেলিভারি পার্টনারদের সুরক্ষিত রাখতে নগদ বিনিময় এড়িয়ে চলুন৷’’

বুধবার ফ্লিপকার্ট, গ্রোফার্স, জ্যোমাটো, মেডলাইফ, মিল্কবাস্কেট প্রভৃতি ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে ময়দানে নামে সরকার৷ কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রশাসন অতিসক্রিয় হওয়ায় কোপ পড়ছে জরুরি পরিষেবার উপরে। বিভিন্ন জায়গায় আটকে দেওয়া হচ্ছে সংস্থাগুলির পণ্যবোঝাই ট্রাক। গত কয়েক দিন ধরেই চলছে এমন পরিস্থিতি।

একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ই-কমার্স সংস্থা বিগবাস্কেটের এক কর্তা অভিযোগ করছেন,  ‘‘জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট নির্দেশিকা দিলেও, স্থানীয় প্রশাসনের বাধায় আমরা সেই কাজ জারি রাখতে পারছি না।’’ এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে ডিজিআইআইটি প্রতিটি সংস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়ে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, উৎপাদন এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের উপর নজর রাখতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়ে যে কোনও সমস্যা দেখা দিলে ডিপিআইআইটি-র দেওয়া ফোন নম্বর এবং ইমেল অ্যাড্রেসে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *