‘লিভ ইন’ সম্পর্ক জীবনের একটা অংশ! তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

‘লিভ ইন’ সম্পর্ক জীবনের একটা অংশ! তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

এলাহাবাদ: অনেকেই মনে করেন লিভ ইন সম্পর্ক একেবারেই সামাজিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তাই দেশের অধিকাংশ জায়গায় এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ওঠে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার পর্যবেক্ষণ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, লিভ ইন সম্পর্ক এখন জীবনের অংশ।

একটি মামলার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী লিভ ইন সম্পর্ককে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে দেখা দরকার। কারণ এটি এখন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আদালতের বক্তব্য, এই বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সম্মতি জানিয়েছে তাই সেই প্রেক্ষিতেই এই পর্যবেক্ষণ। আসলে, দুই লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগল এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এবং জানিয়েছিল যে মেয়েদের পরিবার তাদের দৈনন্দিন এবং ব্যক্তিগত জীবনে বারবার হস্তক্ষেপ করছে এবং রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন এমন পর্যবেক্ষণ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ওই দুই যুগল অভিযোগ করেছিল যে নিজেদের সমস্যা নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েও তারা কোনো সমাধান পায়নি। তাই আর উপায় না দেখে তারা সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, পুলিশের কর্তব্য ছিল অভিযোগকারীদের রক্ষা করা কিন্তু তারা আইনের অধীনে থেকে কর্তব্য পালন করছে না। ভারতীয় সংবিধানের প্রেক্ষিতে আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তামান্না করে পুলিশের উচিত অভিযোগকারীদের যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। এই মামলার বিচারপতি হিসেবে ছিলেন প্রীতঙ্কর দিবাকর এবং আশুতোষ শ্রীবাস্তব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − one =