সেনার হাতে আসছে AK-203 অ্যাসল্ট রাইফেল, কী চমক থাকছে নয়া অস্ত্রে?

আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে ভারতীয় সেনা। জওয়ানদের ফায়ার পাওয়ার বাড়াতে সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে আসতে চলেছে অটোমেটিক কালাশনিকভ বা একে সিরিজের ‘AK-203’ অ্যাসল্ট রাইফেল। রবিবার আমেঠির করওয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূত্রের খবর, রুশ সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ৭৫০,০০০ অত্যাধুনিক মডেলের অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি করবে ভারত। অটোমেটিক কালাশনিকভ বা ‘AK-203’এর

705485631e833f05b035b932e0643fa5

সেনার হাতে আসছে AK-203 অ্যাসল্ট রাইফেল, কী চমক থাকছে নয়া অস্ত্রে?

আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে ভারতীয় সেনা। জওয়ানদের ফায়ার পাওয়ার বাড়াতে সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে আসতে চলেছে অটোমেটিক কালাশনিকভ বা একে সিরিজের ‘AK-203’ অ্যাসল্ট রাইফেল।

রবিবার আমেঠির করওয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরির প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূত্রের খবর, রুশ সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ৭৫০,০০০ অত্যাধুনিক মডেলের অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি করবে ভারত।

অটোমেটিক কালাশনিকভ বা ‘AK-203’এর বৈশিষ্টঃ

বিশ্বের সর্বাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেলগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে অটোমেটিক কালাশনিকভ সিরিজের ‘AK-203’।

‘AK-47’এর মূল ডিজাইনের ওপর আধুনিকীকরণ করে তৈরি করা হয়েছে এই রাইফেলের মডেল।

অন্যান্য অত্যাধুনিক রাইফেলের মতোই AK-203 রাইফেলের বাটটি ভাঁজ ও লম্বা দু’ভাবেই ব্যবহার করা যাবে। সঙ্গে রয়েছে ‘এরগোনোমিক’ ট্রিগার।

এছাড়াও AK-203 রাইফেলে রয়েছে দুটি স্ট্যান্ড যুক্ত করার ব্যবস্থাও।

যাতে টেলিস্কোপ ও অন্যান্য সাহায্যকারী যন্ত্র রাইফেলের সঙ্গে অনায়াসে যুক্ত করা যায়।

অটোমেটিক কালাশনিকভ সিরিজের এই রাইফেল প্রতি মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে সক্ষম।

৭.৬২ বোরের ৩০ রাউন্ড গুলির ম্যাগাজিন।

গুলি ছাড়া ওই রাইফেলের ওজন ৪ কিলোগ্রাম ১০০ গ্রাম। দৈর্ঘ্য ৯০০ মিলিমিটার।

অটোমেটিক কালাশনিকভ চুক্তিঃ

এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে অটোমেটিক কালাশনিকভ সিরিজের ‘AK-103’ রাইফেল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।

পরে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে দেশে ‘AK-203’ রাইফেল তৈরির জন্য রুশ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

চুক্তি অনুসারে, রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের কারখানাতে অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরির অনুমতি পায় ভারত।

বিষয়টিকে বাস্তবায়িত করতে বহুবার রুশ কর্তাদের সঙ্গে রাশিয়ায় বৈঠকও করেন ভারতের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির শীর্ষ কর্তারা।

এমনকি, বহুবার দেশের সরকারি কারখানাগুলি পর্যবেক্ষণ করে যান রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা।

অবশেষে কোন কারখানায় অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি করা হবে, সে বিষয়ে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, উত্তর প্রদেশের করওয়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এই রাইফেল তৈরির বরাত পায়।

বিশ্লেষণঃ

সম্প্রতি, মার্কিন সংস্থার সঙ্গে 7.69mm অ্যাডভান্সড্‌ 59 Calibre অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার কয়েকদিনের মাথায় আরও একটি অ্যাসল্ট রাইফেল সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

তাদের দাবি, এই রাইফেল ভারতে সফল ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে আধাসেনা এবং সেনাবাহিনী। আগামী ১০-১৫ বছর ফায়ার পাওয়ার নিয়ে আর ভাবতে হবে না ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *