নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি রুখতে জারি হয়েছে লকডাউন। বিশ্বের অধিকাংশ স্থান জুড়েই চলছে এই বিধিনিষেধ। এর ফলে দূষণ থেকে রেহাই পাবে পরিবেশ, এমন পরিসংখ্যান একাধিক গবেষণাতেই উঠে এসেছিল। এবার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) তথ্য প্রকাশ করেছে, লকডাউনের ফলে উত্তর ভারতে বায়ুদূষণের মাত্রা রেকর্ড হারে কমেছে। গত ২০ বছরের হিসেবে তা রেকর্ড বলেই জানা গেছে সংবাদসূত্রে।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনকেই অস্ত্র বানিয়েছে বহু দেশ। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে ভারতে জারি হয়েছিল প্রথম দফার লকডাউন। সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই খবর বহুবার শিরোনামে এসেছে। এবার এই লকডাউনের ফলেই দূষণমুক্ত হচ্ছে আমাদের পরিবেশ, এমনই তথ্য সামনে আনল নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, উত্তরভারতের বায়ুমণ্ডলের বড়সড় পরিবর্তন। মানুষের ফুসফুস, হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত কণা অ্যারোসেলের মাত্রা বাতাসে রেকর্ড হারে কমেছে।
নাসার ইউনিভার্সিটিস স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসআরএ) বিজ্ঞানী পবন গুপ্তা এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, 'আমরা আগেভাগেই অনুমান করেছিলাম, লকডাউনের ফলে বিভিন্ন স্থানে বায়ুমণ্ডলের মধ্যে বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। তবে গঙ্গা অববাহিকায় বর্তমানে বাতাসে অ্যারোসেলের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। এতটা কমবে, আমরা আন্দাজ করিনি।' নাসার বিজ্ঞানীরা লকডাউন চলাকালীন বাতাসে অ্যারোসেলের মাত্রার সঙ্গে ২০ বছর আগের পরিসংখ্যান তুল্যমূল্য বিচার করেছেন। গত ২০ বছরের হিসেবে এই প্রথম বায়ুদূষণের মাত্রা এতটা কম বলেই মনে করছেন তাঁরা।
দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার কার্যকরী সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস টুইটে লিখেছেন, '২০১৬ থেকে প্রতি বছর বসন্ত ঋতুতে এই উপগ্রহ চিত্র তোলে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।' তিনি আরও বলেন, পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে হলে যে আমাদেরই পরস্পর সহযোগিতার প্রয়োজন, সেই কথা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।