নয়াদিল্লি: এখন নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। করোনার এই নয়া প্রজাতি বিশ্বের তথা ভারতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আপাতত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই। তাহলে এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে নিজেকে রক্ষা করা যাবে? কী করতে হবে ওমিক্রন রুখতে? সেই বার্তা দিলেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি স্পষ্ট বললেন, আতঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই, শুধু সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।
এদিন তিনি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন। সেখানে এইমস প্রধান জানিয়েছেন, দেশের একটি বিরাট জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্য অনেক দেশের থেকে অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে ভারত। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্তদের শরীরে বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আক্রান্তদের দেহে অক্সিজেনের মাত্রাও খুব একটা কমছে না। তাই এই প্রজাতি নিয়ে বেশি আতঙ্কিত হওয়ার জায়গা নেই। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে জানিয়েছে যে, ডেল্টা ও ওমিক্রন মিলে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের সুনামি ডেকে আনতে পারে।
হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসুস বলেন, “ডেল্টা ও ওমিক্রন জোড়া বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণের হার যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জোড়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে৷ যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোভিডের সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এমনটা হলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর বিপুল চাপ তৈরি হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে৷’’ প্রসঙ্গত, বিগত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার ফ্রান্স ও আমেরিকায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নয়া রেকর্ড গড়েছে৷ ডেল্টাকে হারিয়ে ফ্রান্স ও ব্রিটেনে প্রধান চালিকাশক্তির ভূমিকা নিয়েছে ওমিক্রন৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে৷ আমেরিকার পরিস্থিতিও প্রায় একই রকম৷ ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন৷