নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য দেশের একাধিক রাজ্যে চালু হয়েছে লকডাউন এবং নাইট কার্ফু। কিন্তু এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসছে দেশে, সে ক্ষেত্রে আংশিক লকডাউন বা নাইট কার্ফু কোনো কাজে লাগবে না। কার্যত এখন থেকেই অশনি সংকেত দিয়ে রাখলেন তিনি।
এইমস প্রধানের বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউ আরো সংক্রামক হতে চলেছে তাই এই ভাবে আংশিক লকডাউন বা নাইট কার্ফু কোন কাজ করবে না। একেবারে পূর্ণ লকডাউন হলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান প্রথমে হাসপাতাল পরিকাঠামোর দিকে নজর দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানোর জন্য অতি সক্রিয়তা দেখাতে হবে মানুষকে এবং তৃতীয়ত টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে দেশের অক্সিজেন সংকট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাটিয়ে ওঠা যায় তত তাড়াতাড়ি ভালো বলে দাবি করেছেন তিনি। গতবছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আটকাতে লকডাউন কার্যকরী করা হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। যদিও বিরোধীরা দাবি করেছিল যে কেন্দ্রীয় সরকার অপরিকল্পিত লকডাউন ঘোষণা করেছে এবং যার ফলে মানুষের সমস্যা বেড়েছে। কিন্তু এখন দেশের যা পরিস্থিতি তাতে মনে করা হচ্ছে সম্পূর্ণ লকডাউন একমাত্র রাস্তা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৩৩-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৪৪৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২০ হাজার ২৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৩ হাজার ২৯২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৫ কোটি ৮৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ।