আমেদাবাদ: একদিকে যখন চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, ঠিক তখনই দেশীয় চিকিৎসাশাস্ত্রকে কাজে লাগিয়ে এবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছেন বাংলার করোনা আক্রান্ত তিন রোগী৷ তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশে দেশে এই প্রথম করোনাকে পিছনে ফেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন গুজরাটের প্রথম করোনা আক্রান্ত তরুণী৷ প্রকাশ্যে নাম-পরিচয় ঘোষণা করে তরুণী নিজের সোস্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন সচেতনতার বার্তা৷
আমেদাবাদে যে তরুণী প্রথম করোনা আক্রান্ত হন, তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ গোটা দেশ যখন করোনা বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করছে, তখন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা এই তরুণীকে রাজকীয় ভঙ্গিমায় বরণ করে নিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ হাততালি দিয়ে কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে তাঁকে আবাসনে স্বাগত জানান প্রতিবেশীর৷ আমেদাবাদের বাসিন্দা ৩২ বছরের তরুণী সুমিতি সিংহ৷ গত ২০ মার্চ ইউরোপ থেকে আমেদাবাদে ফেরেন তিনি৷ তারপর তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ রিপোর্টে তাঁর করোনা পজেটিভ মেলে৷ ঠিক কেমন ছিল করোনা বিরুদ্ধে সেই লড়াই?
সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ওই তরুণী৷ জানিয়েছেন, ‘‘আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি হলাম, তখন থেকে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ চিকিৎসকরা আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন৷ যেমন যেমন শরীরে লক্ষণ দেখা দিচ্ছিল, তেমন তেমন চিকিৎসার পরীক্ষা করেছেন৷ চিকিৎসা করেছেন৷ টানা ৯দিনের চিকিৎসার পর আমি একটু সুস্থ অনুভব করছি৷ চিকিৎসকরা আমার নমুনা পরীক্ষা করেছেন৷ দীর্ঘ চিকিৎসার পর আমি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি৷’’
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি সমাজকে বার্তা দিয়েছেন৷ জানিয়েছেন, সকলকে লকডাউন মেনে চলা বিষয়ে৷ বলেন, ‘‘আমি আপনাদের কাছে একটাই বার্তা দিতে চাই, আপনারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলুন৷ দয়া করে বাইরে যাবেন না৷ অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনি সুস্থ থাকুন৷ আপনি সুস্থ থাকুন, বাকিদের সুস্থ রাখু৷’’
ঘরের মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে তরুণীর গোটা পরিবার৷ তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকরা ওই ৩২ বছরের তরুণীকে বাড়িতে আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারন্ডেটনে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন৷ হোম কোয়ারন্ডেটনে থেকেই নাম-পরিচয় গোপন না রেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দেশের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, আপনারা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না৷ আর তা না হলে করোনা আপনাকে চেপে ধরবে৷’’