নয়াদিল্লি: ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখান্ড এবং গোয়া দখলের পর বিজেপি বাহিনীর লক্ষ্য এখন প্রাণকেন্দ্র গুজরাট এবং ছত্রিশগড়। চলতি বছরের শেষের দিকেই গুজরাতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন, যা নিয়ে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী পদ্ম শিবির। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের নতুন লক্ষ্য ছত্রিশগড়। ২০২৩ সালেই কংগ্রেস শাসিত এই ছত্রিশগড়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই এই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যকেও নিজের দখলে আনতে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে নারাজ বিজেপি বাহিনী।
জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের ছত্তিশগড় দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ৫ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ছত্রিশগড়ে একটি বিশদ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতে দলের জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে ছত্রিশগড়ের বিজেপি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেছেন ছত্রিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিষ্ণু দত্ত। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্ত্রিত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ৫ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত বিস্তারিত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি বাহিনী। এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ছত্রিশগড়ের সমস্ত পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যুব মোর্চার বিক্ষোভ, এবং রাজ্যের বেকারভাতা সহ একাধিক সরকারি কর্মসূচি নিয়ে ছত্রিশগড় সরকারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই দলের যুব মোর্চার উপস্থিতিতে রাজ্যের বেকার ভাতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে দলটি। সেইসঙ্গে ছত্রিশগড়ের প্রায় ৪৫০০ টি পাওয়ার প্লান্টেও পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি বাহিনী।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ছত্রিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মোট ৯০টি আসনের মধ্যে ৬৮টি আসনে জিতেছিল। অন্যদিকে বিজেপি দখল করেছিল মাত্র ১৫টি আসন। এছাড়া জন কংগ্রেস এবং বহু জন সমাজ পার্টি যৌথভাবে ৭ টি আসন দখল করে।