করাচি: ভারতের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠবে না পাকিস্তান৷ সে কথা খুব ভালোই জানতেন ইমরান৷ তবুও, সতীর্থদের উপর ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের খবর পেয়ে মাথা গরম করে ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ ভারতে জবাব দেওয়া হবে, এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়িয়ে এবার আত্মসমর্পণের বার্তা পাঠাল পাকিস্তান৷ যুদ্ধ করে লাভ হয় না, আলোচনার মাধ্যমে হোক সমস্যার সমাধান৷ বুধবার পাক সেনা মুখপত্রের তরফে ভারতে ঠিক এই বার্তাই পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷ পাকিস্তানের এই আলচনার দাবি প্রসঙ্গে ভারতে তরফে আজ বিকালে জবাব দেওয়া হবে বলে খবর৷
কিন্তু, হঠাৎ কেন এই বার্তা? মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে চিন-আরব ছাড়া আর কোনও দেশের সমর্থন পায়নি পাকিস্তান৷ তার উপর আমেরিকাও আর্থিক সাহায্য করা বন্ধ করে দিয়েছে৷ চূড়ান্ত অর্থ কষ্টে রয়েছে পাকিস্তান৷ এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন৷ মনে করা হচ্ছে, সব দিক খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের৷
Foreign Secretary Vijay Gokhale to brief media at 3:15 pm today pic.twitter.com/6i63uLDCjn
— ANI (@ANI) February 27, 2019
কখন, কোথায়, কীভাবে প্রত্যাঘাত করা হবে তা ঠিক করবে পাকিস্তান। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর একথা জানান পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে যা সংসদকে সবকিছু জানাবে।
তারা ভারতের সব দাবিকে অসত্য বলে বর্ণনা করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে নির্বাচনী আবহাওয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থায়িত্বকে বন্ধক রেখে এই কাজ করা হয়েছে। যেখানে বিমানহানা হয়েছে, সেখালে প্রকৃত পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে যাবে পাক সরকার। একইসঙ্গে সবরকমের অবস্থার জন্য জনগণকে তৈরি থাকতেও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংসদে তুলোধোনা করা হয়েছে ইমরানকে। মঙ্গলবার বিরোধীরা সংসদে ইমরানের উদ্দেশে শেম, শেম বলে আওয়াজ তোলে। এই ধিক্কারের মুখে পড়ে পাক মন্ত্রীরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি। দ্বিগুণ জোরে ইমরানের সরকারের বিরুদ্ধে শেম, শেম ধ্বনি ওঠে। ভারত আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং পাক বিমানবাহিনী পাল্টা দেওয়ার আগেই তারা পালিয়ে বলে সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তা মানতে নারাজ পাকিস্তানের বিরোধী দলের নেতারা।