নয়াদিল্লি: সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে দ্বিতীয়বার জন্য বহিস্কার হওয়ার পর নাম না করে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অলোক বর্মা৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি দাবি করেন, ‘‘মিথ্যে, তুচ্ছ ও প্রমাণহীন অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আমি প্রতিষ্ঠানের নাম বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম৷ কিন্তু, সিবিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবমু্ক্ত করার জেরেই আমাকে সরতে হল৷ এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে৷’’
বর্মা বলেন, “উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু আমি সিবিআইয়ের স্বতন্ত্রতা ও অখণ্ডতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম৷’’ তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কোনওটা ভিত্তিহীন, কোনওটার তথ্যপ্রমাণ নেই, কোনওটা পুরোপুরি মিথ্যে বলেও জানান তিনি৷ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বর্মার মন্তব্য, ‘‘এমন এক অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে সরানো হল, যিনি নিজেই অপরাধী’’
সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে পুরানো পদে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ঠিক দু’দিনের মাথায় সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে সরিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি। তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে দমকলের ডিরেক্টর জেনারেল করা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার মোদির আপত্তির জেরেই অপসারিত হন অলোক বর্মা৷ সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সদস্যের সিলেকশন কমিটি৷ দুই-এক ভোটের ভিত্তিতে অলোকে ফের অপসারণ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার সিভিসির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর৷ সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার দ্বিতীয় দিনেই সরিয়ে দিলেন পাঁচ অফিসারকে৷ দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সিলেক্ট কমিটির গুরুত্ব বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী৷ পরে, মোদি ও মল্লিকার্জুন খার্গের আপত্তির জেরে তাঁকে অপসারিত করা হয়৷ এদিনের এই বৈঠকে ছিলেন প্রধান বিচারপতির এক প্রতিনিধি৷
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই ডিরেক্টর পদ ফিরে পান অলোক বর্মা৷ কেন্দ্রের জারি করা ছুটির নির্দেশ বাতিল করে দেশের শীর্ষ আদালত৷ সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করলে, দু’জনকেই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্র৷ অলোক ভার্মার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়৷ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের নির্দেশ বাতিল করে অলোক ভার্মাকে ডিরেক্টর পদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ বর্মার ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সিলেক্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত৷ কমিটতে প্রাধানমন্ত্রী ও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান ও প্রধান বিচারপতির নাম চূড়ান্ত করা হয়৷ পরে, সিলেক্ট কমিটির বৈঠকের পর অলোক বর্মাকে অপসারণ করা হয়৷ অপসারণের পরই মোদির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বর্মা৷