দিল্লি দখলের পর এবার রাজ্য সরকার ভাঙবে বিজেপি?

নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের ফল বেরোবার পরই দেশের দুটি বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকার সঙ্কটে পড়েছে। কর্ণাটকে কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কংগ্রেস জেডিএস সরকার এবং রাজস্থানে গেহলট সরকার। কর্ণাটকে বিজেপি আবার অপারেশন লোটাস নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। এর আগে দু’বার এই প্রয়াস করেও ব্যর্থ হয়েছেন যদুরাপ্পা। এবার ভোটে কংগ্রেস, জেডিএসের শোচনীয় ফলাফলের পর পরিস্থিতি বদলেছে। দুই দলের বিক্ষুব্ধরা প্রকাশ্যেই

দিল্লি দখলের পর এবার রাজ্য সরকার ভাঙবে বিজেপি?

নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের ফল বেরোবার পরই দেশের দুটি বিরোধী শাসিত রাজ্য সরকার সঙ্কটে পড়েছে। কর্ণাটকে কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কংগ্রেস জেডিএস সরকার এবং রাজস্থানে গেহলট সরকার। কর্ণাটকে বিজেপি আবার অপারেশন লোটাস নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। এর আগে দু’বার এই প্রয়াস করেও ব্যর্থ হয়েছেন যদুরাপ্পা।

এবার ভোটে কংগ্রেস, জেডিএসের শোচনীয় ফলাফলের পর পরিস্থিতি বদলেছে। দুই দলের বিক্ষুব্ধরা প্রকাশ্যেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। ফলে বিধায়ক কেনাবেচার খেলাটা এখন আগের থেকে সহজ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে কংগ্রেস ও কুমারস্বামী মিলে ঠিক করেছেন, মন্ত্রিসভার রদবদল করা হবে। কিছু মন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন। তাঁদের জায়গায় বিক্ষুব্ধদের মন্ত্রী করা হবে। এভাবে আপাতত সরকার সামলাতে চাইছেন কুমারস্বামী। কিন্তু যেভাবে বিজেপি আবার উঠে পড়ে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে তাতে কত দিন ঠেকিয়ে রাখা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

কিন্তু রাজস্থানে বিজেপির জন্য নয়, কংগ্রেসের দুই নেতার ঝগড়ায় সরকারের সংকট দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট দুজনেই সোমবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। শচীন তাঁর অনুগামীদের দিয়ে এই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন, রাহুল গান্ধী গেহলট-এর ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। তিনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় গেহলট মুখ্যমন্ত্রী থাকার জায়গায় নেই। কিন্তু শচীনের মুশকিল হচ্ছে যে বিধায়কদের মধ্যে অধিকাংশই মুখ্যমন্ত্রীর লোক। দুজনের এই বিরোধের ফলে হঠাৎই রাজস্থান সরকারে সংকট দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − two =