আজ বিকেল: স্কুলেই গণধর্ষণের শিকার কিশোরী, লোকলজ্জা ঢাকতে লঙ্কা খেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হল সেই নির্যাতিতাকেই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেরাদুনের একটি সিবিএসসি বোর্ডের স্কুলে। শিখ সম্প্রদায়ের এক ট্রাস্টিবোর্ডের অধীনেই চলত স্কুল। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরই বোর্ড স্কুলটির অনুমোদন বাতিল করেছে। এখন সরকারি নিয়মে শুধু অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে।
জানা গিয়েছে,২০১৮-র ১৪ আগস্ট স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণির চার ছাত্রের লালসার শিকার হয় বছর ১৪-র ওই কিশোরী। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের রিহার্সালে ডাকছেন দিদিমণি। এই বলেই চারজন কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর উপর্যুপরি ধর্ষণ, এর জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি হোস্টেল ইনচার্জ তানু মালহোত্রকে জানালে তিনি উলটে নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করতে থাকেন। এবং, গর্ভপাত যাতে হয়ে যায় সেজন্য শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। এক সপ্তাহ ধরে জড়িবুটি, কাঁচালঙ্কা ও পেঁপে খাইয়ে রাখা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ায় নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় স্কুল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর দীপক মালহোত্রা ও তাঁর স্ত্রী হোস্টেল ইনচার্জ তানু মালহোত্রা দুজনে কিশোরীর বাবা-মা সেজে হাসপাতালে যায়। বলা হয় অনিয়মিত ঋতুস্রাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। কিন্তু যেই প্যাথলজি টেস্টের কথা বলা হয় অমনি তারা পালিয়ে আসে। এই হাসপাতালে থাকাকলীন সময়েই বিষয়টি স্থানীয় চাইল্ড রাইটস এনজিও-র নজরে আসে। কিশোরীকে জেরা করেই বিষয়টি জানানো হয়। সংস্থার তরফে নির্যাতিতার বাবা-মাকেও খবর দেওয়া হয়।
ঘটনার ঠিক একমাস বাদে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চার ছাত্র-সহ স্কুলের ডিরেক্টর লতা গুপ্ত, প্রিন্সিপ্যাল জিতেন্দ্র, হোস্টেল ওয়ার্ডেন মঞ্জু ও দীপক মালহোত্রা তানু মালহোত্রাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত আট মাস ধরে চলছে বিচার প্রক্রিয়া। আর সেই সময়ে অভিযুক্ত ও আক্রান্তের বয়ান থেকে উঠে এসেছে মারাত্মক সব কাহিনি। জানা গিয়েছে, ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সেটা দেখতে অভিযুক্ত চার ছাত্র স্কুলের অন্য ব্রাঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্কুল ছাত্রদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে দেখে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় মেয়েটি। এরপরই তারউপরে চলে টোটকার অত্যাচার।