নয়াদিল্লি: করোনা আবহে আগেই নাজেহাল অবস্থা ভারতের। তারমধ্যে চিনের সঙ্গে শুরু হয়েছে স্নায়ু যুদ্ধ। লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিন সীমান্তে ক্রমেই অস্থিরতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারত মহাসাগরেও চিন তাদের গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি দিকে ভারত সব সময় নজর রেখেছে। লাল ফৌজকে মোকাবিলা করতে ভারত সব সময় প্রস্তুত। ভারত মহাসাগরে চিনের গতিবিধি বাড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে শুরু করেছে ভারত।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পর থেকেই ভারত আগের থেকে অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে গিয়েছে। ভারত মহাসাগরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জলসীমা বরাবর চিনা নৌবহর দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় নৌবাহিনী। আগাম সতর্কতা হিসেবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা দ্বিগুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি থেকে নৌসেনাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দামানে প্রয়োজনে যাতে যুদ্ধবিমান নামিয়ে কাজ চালানো যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। উত্তর আন্দামানে আইএনএস কোহাসারের রানওয়ে বাড়ানো হচ্ছে।
মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিন উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ১৫ জুন গালওয়ানে ভারতের সেনাদের সঙ্গে চিনা সেনাদের সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় প্রায় ২০ জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন। বহু সেনা আহত হয়েছিলেন। আহতদের লেহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী লাদাখ সীমান্তে সেনাদের উৎসাহ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে লেহতে আহত সেনাদের দেখতে যান।