কেরলের পর এবার জঙ্গি যোগে নাম জড়াল কলকাতার!

কলকাতা: কেরলে ওসামা বিন লাদেনের ছবি লাগানো গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল কলকাতার। গাড়ির মালিককে রাজ্যে এসে জেরাও করে গেল কেরল পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম। দু’বার হাতবদল হয়ে গাড়িটি কেরলে গিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত তারা। তবে গাড়ির মালিক কেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাকে তা বিক্রি করতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে বেঙ্গালুরুর লোকটি গাড়িটি

7ccbc86b4fb45c3c9406ceb4d337abb7

কেরলের পর এবার জঙ্গি যোগে নাম জড়াল কলকাতার!

কলকাতা: কেরলে ওসামা বিন লাদেনের ছবি লাগানো গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়াল কলকাতার। গাড়ির মালিককে রাজ্যে এসে জেরাও করে গেল কেরল পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম। দু’বার হাতবদল হয়ে গাড়িটি কেরলে গিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত তারা। তবে গাড়ির মালিক কেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাকে তা বিক্রি করতে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পরে বেঙ্গালুরুর লোকটি গাড়িটি কেরলের এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে যে গাড়িটি কেনেন, তার সঙ্গে শহরের এই বাসিন্দার যোগাযোগ কীভাবে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁকে ফের জেরা করা হতে পারে। পাশাপাশি গাড়ি হাতবদল হওয়ার পরেও কেন নাম পরিবর্তন হয়নি তাও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে কেরলে কোল্লাম থেকে একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে সেখানকার পুলিশ। গাড়িটিতে আল কায়দার তদানীন্তন চিফ ওসামা বিন লাদেনের স্টিকার লাগানো ছিল। অফিসাররা গাড়িটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, তাতে থাকা নম্বর প্লেটটি পশ্চিমবঙ্গের। কেরলে এ রাজ্যের গাড়ি কীভাবে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এই গাড়টি যে জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের কোনও সদস্য ব্যবহার করছে, তাও জানা যায়। এরপরই নড়েচড়ে বসেন সেখানকার পুলিশ আধিকারিকরা।

কিন্তু কীভাবে এই গাড়িটির খোঁজ মিলল? কেরল পুলিশের তদন্তকারী টিমের এক সদস্য জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে একটি গাড়ির ছবি পাঠান। দেখা যায়, গাড়িতে ওসামা বিন লাদেনের ছবি ও স্টিকার লাগানো রয়েছে। যে ব্যক্তি তা পাঠান, তিনি অন্য একটি গাড়িতে করে কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় ট্রাফিক সিগন্যালে ওই গাড়িটি তাঁর গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ায়। তখনই তাঁর নজরে আসে ওসামা বিন লাদেনের ছবি রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি একটি ছবি তোলেন। তা পাঠিয়ে দেন পুলিশের কাছে।

জানা যায়, আলিপুরের জাজেস কোর্ট রোডের একটি বহুতলের বাসিন্দা ২০০৮ সালে নতুন এই গাড়িটি কেনেন। এ রাজ্যেই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। অনেকদিন তিনি সেটি চালান। পরে তা বিক্রি করে দেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রামিজকে। তিনি সেটি ৪ লক্ষ টাকায় কেনেন। পরে তিনি আবার সেটি বিক্রি করে দেন কেরলের বাসিন্দা মহম্মদ হানিফকে। তিনি সেটি কেনেন সাড়ে চার লক্ষ টাকায়। তারপর থেকেই তিনি গাড়িটি ব্যবহার করে আসছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীকে জেরা করে গিয়েছেন কেরল পুলিশের অফিসাররা। তাঁদের কাছে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, গাড়িটি প্রথমে তাঁরই ছিল। পরে তা বিক্রি করে দেন। কাকে তিনি বিক্রি করেন তাঁর নামও জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *