নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত দুই সপ্তাহে একটানা ৪০ ঘণ্টা জেরার পরেও এখনও নাকি বহু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি রাহুলের। আর তাই সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের তাঁকে তলব করল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসঙ্গত গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল ১১টার সময় দিল্লির ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধী। সেখানে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইডি অফিস থেকে বের হন রাহুল গান্ধী। তারপরেই তাঁকে ফের মঙ্গলবার সকালে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাহুল ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হলে এই নিয়ে পরপর পাঁচবার তাঁকে জেরা করবেন এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট আধিকারিকরা।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যেতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রাহুলের সঙ্গে সনিয়াকেও ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল চলতি মাসের প্রথম দিকে। কিন্তু তারপরেই সোনিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত রাহুলকে একাই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বিডি আধিকারিকরা। কিন্তু সোমবার সোনিয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এরপর কবে তিনি ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের ডাকে সাড়া দিয়ে ইডি অফিসে হাজিরা দেবেন। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও আপাতত বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে কংগ্রেস সভানেত্রীকে। তাই আপাতত হাজিরা দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুলকে জুনের প্রথমেই তলব করেছিল ইডি। প্রথমবার বিদেশে থাকার জন্য হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। ইডির সমন পাঠানোর পরই করোনা আক্রান্ত হন কংগ্রেস সভানেত্রী। অসুস্থতার জেরে হাসপাতালে ভরতি হতে হয় তাঁকে। ফলে তিনি ইডির সমনে সাড়া দিতে পারেননি। আজই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তবে থাকতে হবে বিশ্রামে। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি।