‘দত্তক’ নেওয়া রাহুলের গ্রামে জনতার বিক্ষোভ

জগদীশপুর: পাঁচ বছর আগে ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র (এসএজিওয়াই) আওতায় আমেথির জগদীশপুর গ্রামটিকে ‘দত্তক’ নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু তারপর থেকে আর কখনও সেখানে যাননি তিনি। আপাতত তাঁর অপেক্ষায় রয়েছে গোটা গ্রাম। কারণ, রাহুল গান্ধী এলেই নতুন করে শুরু হবে উন্নয়ন কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা কেশরী নন্দন বলেন, ‘২০১৪ সালে রাহুল গান্ধী এখানে এসেছিলেন। সেই

‘দত্তক’ নেওয়া রাহুলের গ্রামে জনতার বিক্ষোভ

জগদীশপুর: পাঁচ বছর আগে ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র (এসএজিওয়াই) আওতায় আমেথির জগদীশপুর গ্রামটিকে ‘দত্তক’ নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কিন্তু তারপর থেকে আর কখনও সেখানে যাননি তিনি। আপাতত তাঁর অপেক্ষায় রয়েছে গোটা গ্রাম।

কারণ, রাহুল গান্ধী এলেই নতুন করে শুরু হবে উন্নয়ন কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা কেশরী নন্দন বলেন, ‘২০১৪ সালে রাহুল গান্ধী এখানে এসেছিলেন। সেই সময়ে উন্নয়নের জন্য প্রতিটি রাস্তা, গাছ, এমনকী বিদ্যুতের খুঁটিরও মাপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর কখনই কিছু করা হয়নি।’ আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের গড় আমেথি থেকে ফের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। প্রচারে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নিজের কেন্দ্রের যথাযথ উন্নয়ন না করা ও পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া নিয়েও সরব হন তিনি।

এসএজিওয়াই প্রকল্পের আওতায় সাংসদদের নিজের কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি করে গ্রাম বেছে নিয়ে সেটিকে ‘মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হলেও জগদীশপুর গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই এখনও কাঁচা। জল সরবরাহের কোনও সুবন্দোবস্ত নেই। গোটা গ্রামে একটি মাত্র স্কুল থাকলেও তার অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। বিভিন্ন দিক দিয়ে স্কুলটির উন্নতিসাধন প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। আমেথির জগদীশপুর গ্রামটিকে ‘দত্তক’ নেওয়ার পর থেকে কংগ্রেস সভাপতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছে গোটা গ্রাম। কিন্তু তারপরও রাহুল গান্ধী সেখানে না যাওয়ায় সম্প্রতি গ্রামের প্রধান জিতেন্দ্র যাদব বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

জগদীশপুরের উন্নতির জন্যই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘আমাদের গোটা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই গান্ধী পরিবারের সমর্থক। রাহুল গান্ধীর জয়ে আমাদেরও ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আমরা যখন একটি কমিউনিটি হলের আবেদন নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের ৩০ সেকেন্ড সময়ও দেননি। আমাদের আবেদনপত্র শুধুই একটি ব্যাগের মধ্যে ফেলে রাখা হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *