ক্ষেপে উঠেছে সূর্য, রোষে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাসার যান, বিপাকে পড়বে কি আদিত্য?

ক্ষেপে উঠেছে সূর্য, রোষে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাসার যান, বিপাকে পড়বে কি আদিত্য?

aditya l1 

কলকাতা: সম্প্রতি বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে সূর্য৷ দেখা গিয়েছে একাধিক সৌরঝড়৷ দিন কতক আগে সৌরঝড়ের মুখে পড়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি মহাকাশযান পার্কার। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে কোনওক্রমে নিজেকে রক্ষা করে সে। এই সঙ্কটের পর নাসার তরফে জানানো হয়, এর আগে কোনও দিন এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি পার্কারকে। তবে কি গন্তব্যে পৌঁছে সূর্যের রোষের মুখে পড়তে হবে ভারতের তৈরি প্রথম সৌরযান আদিত্য এল১-কেও৷  আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা৷  


সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা হল গতিশীল পদার্থ। সেই কারণেই সোলার ফ্লেয়ার এবং করোনাল মাস ইজেকশনের মতো বিস্ফোরণ ঘটে থাকে৷ করোনাল মাস ইজেকশন কখন হয়? মূলত সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমায় বৃহৎ আকারের বিস্ফোরণ ঘটলে মাস ইজেকশ হয়। সেই সময় সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাজমা নির্গত হতে থাকলে তৈরি হয় সৌরঝড়।  

এদিকে পরশু রাতেই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে গন্তব্যের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে আদিত্য৷ সোমবার রাতে পঞ্চম তথা পৃথিবীর শেষ কক্ষপথ বদল করে  ‘স্ফিয়ার অফ ইনফ্লুয়েন্স’ থেকে বিদায় নেয় ইসরোর সেই সৌরযান। এটা ছিল সবচেয়ে  কঠিন চ্যালেঞ্জ৷ সাফল্যের সঙ্গে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে আদিত্য।  এখন এর গন্তব্য, সান-আর্থ সিস্টেমের হ্যালো অরবিটের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১৷  সেখানে পৌঁছেই সূর্যকে নীরিক্ষণের কাজ শুরু করবে সে৷ পৃথিবী থেকে এই স্থানের দূরত্ব ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার৷ 

তবে ইতিমধ্যেই মহাকাশে নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছে আদিত্য। STEPS যন্ত্রের সেন্সরগুলি পৃথিবী থেকে ৫০ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে সুপার-থার্মাল এবং শক্তিশালী আয়ন এবং ইলেকট্রন পরিমাপ করে ফেলেছে। যা বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর চারপাশের কণার আচরণ বিশ্লেষণের কাজে সাহায্য করবে।  তবে বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছে সৌরঝড়৷ এর ফলে অনেক সময়েই পৃথিবীর ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাটেলাইটের কাজ কর্মেও সমস্যা দেখা হয়। এই আবহে আদিত্যর এই পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =