নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর বুক চওড়া করেছে। দাবি করা হয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার, সন্ত্রাস দমন হয়েছে এবং ভূস্বর্গের উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু আজ সংসদে দাঁড়িয়ে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বললেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার আদতে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে তা পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কুমড়ো কিনতে কোটি টাকা খরচ করছে বিজেপি! মদন উবাচ
এদিন অধীর বলেন, ৩৭০ ধারা রদ এরপর বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তা পূরণ করতে পারেনি। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ফিরিয়ে আনা হবে, সেই কাজ করতেও অসফল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এটা আদতে তারাই প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে নির্বাচন চলে গেলে প্রতিশ্রুতিও চলে যায়! একইসঙ্গে অধীরের মন্তব্য, গিলগিট-বালচিস্তান নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যারা কাশ্মীরে ফিরতে পারছে না তাদের ফেরাতেই ব্যর্থ তারা। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে অধীরের বার্তা, গিলগিট-বালচিস্তান পরে হবে, আগে যারা কাশ্মীরে ফিরতে পারছেন না তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হাম দো, হামারে দো’, সংসদে মোদী সরকারকে তীব্র খোঁচা রাহুলের
এর আগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেন, “ভারতের সরকার এখন চলছে চারজনের হাতে। হাম দো, হামারে দো।” পরে কৃষক আইন নিয়ে কথা গিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনগুলি চালু হলে মান্ডিগুলি ধ্বংস হয়ে যাবে। ছোট চাষী ও ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষিপণ্যের দামও অনেকটা বাড়বে।” এদিন মোদী সরকারকে তুলোধোনা করে রাহুলের বক্তব্য, “বেশ কিছু বছর আগে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার থেকে একটি সচেতনতামূলক লাইন তৈরি করা হয়েছিল। ‘হাম দো, হামারে দো’। সেই লাইন এই সরকারের জমানায় নতুনভাবে ফিরে এসেছে। দেশে এখন ‘হাম দো হামারে দো’-এর হাতে সরকারের রাশ। দুজন ব্যবসায়ীর স্বার্থেই এখন সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। চারজন লোক মিলে দেশ চালাচ্ছে।”