নয়াদিল্লি: দুয়ারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ৷ বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি৷ এই মুহূর্তে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ১৭ জন ভারতীয়৷ এর আগে আক্রান্তের হার ছিল মাত্র ৮ আক্রান্ত হচ্ছিলেন ১০০ জনের মধ্যে৷ একদিকে যেমন বাড়ছে করোনা, সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অক্সিজেন কমিত ও হাসপাতালে বেডের আকাল৷ টান পড়তে শুরু করেছে ভ্যাকসিনও৷ ‘ত্রিফলা’ চাপে কর্যত ত্রাহি মধুসূদন রব৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশকে৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড বিধি মেনে চলার দাওয়াফের একবার আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছেন৷ শাহী স্নান পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে চলেছে৷ অবিলম্বে পরিস্থিতি সামল দিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে বিষয়ে সবর হয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং৷ দিয়েছেন পরামর্শ৷ পরিস্থিতি সামালতে রাজ্যগুলিকে দ্রুত অক্সিজেন থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী৷
করোনার কবলে রাজ্যের পাশাপাশি দেশজুড়ে হাহাকার তৈরি হয়েছে৷ গুরুতর অবস্থা রাজধানী দিল্লিতে৷ বেডের আকাল মেটাতে স্কুল, আশ্রম, অনুষ্ঠানবাড়িদতে কোভিড শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বাংলাকে আরও বেশি টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে৷ রাজ্যে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছতে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ চিকিৎসক, নার্সদের মতো কোভিড যোদ্ধাদের ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজে’র ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সময়সীমা আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷