জম্মু ও কাশ্মীর: সন্ত্রাস নিয়ে সমস্যা আছেই, এবার জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অন্য এক সমস্যা ধরা পড়ল যা ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলেই নিশ্চিত সকলে। পাকিস্তানি জঙ্গিদের উৎপাতের মধ্যেই ভূ-স্বর্গ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে ‘নেশা’ উপত্যকা। কারণ দিন দিন মাদকাসক্তর পরিমাণ বিরাট ভেবে বেড়ে চলেছে সেখানে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বিগত পাঁচ বছরে কাশ্মীরে মাদকাসক্ত বেড়েছে ২ হাজার শতাংশ! নেশা করছে অনেক মহিলারাও।
আরও পড়ুন-দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে চিন পেতেছে ঋণের ফাঁদ!
সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশই স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে নেশা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা নেশা করছে তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মহিলা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টায় এক জন করে মাদকাসক্ত ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মূলত হেরোইনের নেশায় বুঁদ হচ্ছে তারা। আর সমগ্র বিষয়টির পিছনে কাজ করছে পাকিস্তানের মদত। দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তান থেকেই বেশিরভাগ নেশার দ্রব্য সরবরাহ করা হচ্ছে উপত্যকায়। আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে যে আফিম আসছে তাই চালান করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে যেখানে প্রায় ৫০০ জন মাদক ছাড়ার সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল সেখানে ২০১৭ সালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার জন। এই সংখ্যাটাই ২০১৯ সালে হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার। সেই হিসেবেই গত ৫ বছরে নেশা করার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার শতাংশ। নেশামুক্তি কেন্দ্রে থাকা এই রোগীদের প্রত্যেকের আর্থিক পরিস্থিতি যে একই রকম তা নয়। কেউ খুবই উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে আসছে, আবার অনেকেই আছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই নিশ্চিত হওয়া যায় যে, গোটা উপত্যকা জুড়েই এই নেশা করার আধিপত্য বাড়ছে এবং তা সব শ্রেণির মধ্যেই।