ভোপাল: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জটিলতার জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে আবার নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে লকডাউনের। অনেকেই হয়তো ভাবছেন লকডাউন কার্যকরী হয়ে যাবে তাই তার আগে যে যার রাজ্যে ফিরতে চাইছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে দুর্ঘটনা ঘটে মৃত্যু হল দুইজন পরিযায়ী শ্রমিক। আহত হয়েছেন একাধিক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের জেরে বাসটি উল্টে যায় এবং যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই টুইচ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাতে নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
দিল্লি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসছিল ওই বাসটি। মধ্যপ্রদেশের তিকামগড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজন পরিযায়ী শ্রমিকের। বাকি আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার আতঙ্কিত হয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত তাদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া। তবে কি সরকার এইসব মানুষদের ওপর দোষ চাপাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটানোর জন্য? এই প্রশ্ন করলেন রাহুল। আসলে দুর্ঘটনার কবলে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বক্তব্য, আগেরবার লকডাউন কার্যকরী হওয়ায় তারা বাড়ি ফিরতে পারেননি। ওই ভাবেই ফেঁসে গিয়েছিলেন। তাই এবার যাতে আর কোনো রকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয় সেই কারণেই তারা আগেভাগে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
प्रवासी एक बार फिर पलायन कर रहे हैं। ऐसे में केंद्र सरकार की ज़िम्मेदारी है कि उनके बैंक खातों में रुपय डाले।
लेकिन कोरोना फैलाने के लिए जनता को दोष देने वाली सरकार क्या ऐसा जन सहायक क़दम उठाएगी?#Lockdown
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 20, 2021
উল্লেখ্য, গোয়ালিয়ার হয়ে তিকামগড় যাচ্ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের ওই বাসটি। গোয়ালিয়র এবং ঝাঁসির মাঝামাঝি ডাবরা হাইওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা স্থলেই মারা যান দুইজন পরিযায়ী শ্রমিক এবং বাকিদের সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।