পানাজি: গোয়ায় বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে দলের। সাংগঠনিক স্তর থেকে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল অনেক দিনই হল। গোয়ার স্থানীয় নেতাদের অনেকেই দলে যোগও দিয়েছেন। তবে সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট নিয়ে একটা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল তা আজকের পর আরও জটিল হল। কারণ আজ সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে কার্যত তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রথমেই তিনি বলেন যে, গোয়ায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার মানে হল বিজেপিকে জিতিয়ে দেওয়া। বিজেপির বিরুদ্ধে যদি একটি দল টক্কর দিতে পারে তাহলে তার নাম হব তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই দাবি করেন তিনি। আর এই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস এবং নেতা চিদাম্বরমকে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, চিদম্বরমকে তিনি সম্মান করেন, কিন্তু তিনি মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে এই বিষয় নিয়ে নাকি কথাই হয়নি। কিন্তু অভিষেক জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর বেলা দেড়টা নাগাদ চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন বর্মা। সেখানে দুজনের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই অভিষেকের সরাসরি চ্যালেঞ্জ, তিনি যদি ভুল বলেন তাহলে যেন কংগ্রেস নেতা তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। আদালতে প্রমাণ হয়ে যাবে কে ঠিক, আর কে ভুল।
আসলে গোয়াতে ভোটে জিতেও রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। একাধিক নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ গোয়ার ক্ষমতা পেয়ে যায় বিজেপি। তাও গত বিধানসভা ভোটের ২ বছরের মধ্যেই। সেই কারণেই আরও বেশি করে কংগ্রেসকে নিশানা করছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও অনেক কংগ্রেস নেতাকে বিজেপিতে আসার আহ্বান জানান হয়েছে ইতিমধ্যে। তাই অভিষেকের বক্তব্য, গোয়ায় কংগ্রেস জেতা মানেই বিজেপির জয়।