রাস্তায়, মাঠে-ভোটে, কোথাও নেই! সিপিএম-কংগ্রেসকে একহাত অভিষেকের

রাস্তায়, মাঠে-ভোটে, কোথাও নেই! সিপিএম-কংগ্রেসকে একহাত অভিষেকের

আগরতলা: রাস্তায় নেই। মাঠে নেই। ভোটে নেই। ঠিক এমন মন্তব্য করেই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার রাজনৈতিক ময়দানে যে শুধু লড়ছে বিজেপি এবং তৃণমূল, সেটাও এই মন্তব্যে স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, মানুষ যেন সিপিএম এবং কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নিজেদের ভোট নষ্ট না করে। একই সঙ্গে অভিষেকের এও ইঙ্গিত, ত্রিপুরার পুরভোটে লড়বে ঘাসফুল শিবির। 

ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি ও যুব কমিটির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস দেড় থেকে দু শতাংশের দল হয়ে গিয়েছে। মাটিতে বসে পড়েছে তারা। সিপিএম মাঠে, ঘাটে কোথাও নেই, কংগ্রেস অস্তিত্বহীন। তাই সাধারণ মানুষের উচিত বিজেপিকে সরাতে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। তৃণমূল একমাত্র পারবে বিজেপিকে হঠিয়ে দিতে। তাই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নিজের ভোট নষ্ট করার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরাতে হবে। 

এদিকে আবার জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি ত্রিপুরায় জনসংযোগ অভিযান শুরু করবে তৃণমূল। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রচারাভিযান। ১০ দিন ধরে এই প্রচার চলবে।ত্রিপুরায় নতুন রাজ্য স্টিয়ারিং কমিটির নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহকে ধলাই, খোয়াই, উনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিককে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব পশ্চিম ত্রিপুরা ও সিপাহীজলার দায়িত্ব পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনটি দলে ভাগ হয়ে গোটা রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কাজ করবেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − fifteen =