নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে সামিল হওয়া তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আগেই সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার সাংবাদিক বৈঠক শেষ করতে পারলেন না দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহের পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকেও রাজঘাট থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা বলে তৃণমূল বিঁধেছে বিজেপি সরকারকে।
এদিন ধর্না কর্মসূচির পর সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজঘাটের সামনে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু কিছুপরেই আচমকা দিল্লি পুলিশ এসে তাঁদের ওই জায়গা খালি করতে বলে। রাজঘাট চত্বর ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তারা বলে যে, সাধারণ মানুষ এখানে আসতে শুরু করবেন। তাদের জন্য গেট খুলতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আর সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি কথা বলার চেষ্টা করছিলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে, কিন্তু পুলিশ ক্রমাগত বাঁশি বাজাতে থাকায় অবশেষে তা বন্ধ করতে হয়। এই সময়ে পুলিশের সঙ্গে অভিষেকের কিছুটা তর্কও হয়েছিল।
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা হয়েছে। পুলিশ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অকারণে দুর্ব্যবহার করেছে। এছাড়া সাংসদের একাংশের অভিযোগ, মহিলাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি লাঠি উঁচিয়ে কর্মীদের তাড়া করা হয়েছে বলেও দাবি করছে ঘাসফুল শিবির।