আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল রাজনীতি। একই সঙ্গে দেবাংশু, সুদীপদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ খোয়াই থানা, যেখানে তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে রাখা হয়েছে, সেখানে গিয়ে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গ্রেফতার হওয়া সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে সেখানে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরা৷ এদিকে আবার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
অভিষেকের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি৷ অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। এর আগে তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছিল, তারপর আজ আবার তাঁকে ঘিরে উত্তাল হয় পরিবেশ। এমনকি এই জানা গিয়েছে যে, অভিষেকরা যে থানায় রয়েছেন অর্থাৎ খেয়াই থানা, সেটা ঘিরে রেখেছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। সূত্রের খবর, ধৃত ১১জন তৃণমূল নেতাদের মধ্যে দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তর পাশাপাশি ত্রিপুরার ছাত্র নেতা সুদীপ রাহা যেমন রয়েছেন, তেমনই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহকে৷ ইতিমধ্যে মামলাটি উঠছে আদালতে৷ সেখানে আইনি লড়াইয়ের জন্য হাজির হয়েছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরা৷ আরও জানা গিয়েছে, স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যেতে পারেন ত্রিপুরা৷ সেক্ষেত্রে বাতিল হতে পারে তাঁর জঙ্গলমহল সফর৷
আরও পড়ুন- সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ধর্ষণের সমান, ঐতিহাসিক রায় হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, ধলাই জেলার আমবাসায় গাড়ি করে যাচ্ছিলেন দেবাংশুরা৷ সেই সময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়৷ তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়৷ তৃণমূল নেতাদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ৷ দেবাংশু বলেন, আমাদের সারা গায়ে গাড়ির ভাঙা কাঁচ৷ সারা গায়ে চোট৷ এদিকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তার উপর বসে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা৷