২৬-এই স্বপ্নপূরণ! দেশের প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর পদে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা

২৬-এই স্বপ্নপূরণ! দেশের প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর পদে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা

c05c9f444de0fad3318e6636e90717ef

কলকাতা: ভারতীয় সেনার ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখলেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কর্পসের কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে যোগ দিলেন তিনি। সেনার এই শাখায় প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অফিসার হিসাবেও এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন অভিলাষা। বুধবার সেনার পক্ষ থেকে তাঁর নিযুক্তির কথা ঘোষণা করে বলা হয়, ‘আজকের দিনটি সোনালি অক্ষরে লেখা হল।’ 

আরও পড়ুন- অবৈধ নয় যৌনকর্ম! বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের, পুলিশকে কড়া নির্দেশ

সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করেন অভিলাষা৷ এর পরেই তাঁকে কমব্যাট এভিয়েটর হিসেবে আর্মি এভিয়েশন কর্পসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  তাঁকে ৩৬ আর্মি পাইলটের ‘কোভেটেড উইংস’ খেতাবেও সম্মানিত করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্ত এডিজিপিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিলাষার খেতাব পাওয়ার ছবি টুইট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘কমব্যাট এভিয়েশন স্কোয়াড্রন্সে পাখা মেলার জন্য তৈরি এই অ্যাভিয়েটর।’ 

১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে গঠিত হয় সেনার অ্যাভিয়েশন কর্পস৷ প্রতিষ্ঠা হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কায় শান্তি সেনার অংশ হিসেবে পাঠানো হয় অ্যাভিয়েশন কর্পসকে৷  এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবেই আর্মি অ্যাভিয়েশন কর্পসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মহিলারা। ২০২১ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে ঘোষণা করেন, ২০২২ সাল থেকে আর্মি অ্যাভিয়েশন কর্পসের পাইলট হিসেবে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে৷ সেই ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম নিয়োগ৷ কমব্যাট এভিয়েটর হিসেবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কর্পসে যোগ দিলেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক। 

হরিয়ানার মেয়ে অভিলাষা ২০১৬ সালে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক পাশ করেন৷ এর পর ২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ অভিলাষার বাবাও একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। ক্যাপ্টেন বরাক সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ছোট থেকেই সামরিক পরিবেশের মধ্যে থেকে বড় হয়েছি৷ তবে সামরিক বাহিনী নিয়ে আলাদা করে উৎসাহ ছিল না। কিন্তু, ২০১৩ সালে ভারতীয় সামরিক একাডেমিতে আমার দাদার পাসিং আউট প্যারেড দেখি৷ এরপর থেকেই সেনার প্রতি আমার ভিতরের অনুভূতিটি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নিই যে বাকি জীবনের জন্য কী করতে চাই৷”