নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকের নিবন্ধন (এনআরসি) প্রায় স্বগোত্রীয় নীতিকে দুটি পৃথক বলে প্রমাণ করতে গিয়ে কার্যত দেশের সমস্ত মানুষের নাগরিকত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন৷ আবার এখন দেশ জুড়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে পুরো বিষয়টা নতুন করে সরলীকরণ করতে গিয়ে কার্যত নাগরিকত্বকেই গুরুত্বহীন করে দিলেন৷
কারণ সম্প্রতি আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি (ইউআইডিএআই) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে এখন থেকে কোনও পরিচয়পত্র বা ঠিকানার প্রমাণ ছাড়াই আপনি আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ শুধুমাত্র আপনার পরিচিত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমেই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে ৷ বিজ্ঞপ্তিতে ইউআইডিএআই জানিয়েছে, স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক, গেজেটেড অফিসার, তহসিলদার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা কাউন্সিলর বা অনাথ আশ্রমের প্রধান বা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের কাছে শংসাপত্র পাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম্যাট না পাওয়ার কারণে বাসিন্দাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউআইডিএআই৷
এক্ষেত্রে আধার নথিভুক্তি এবং আপডেটের জন্য রেগুলেশন ১০(২) এর তফসিল ২-এ আধার তালিকাভুক্তির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট নামক একটি সার্টিফিকেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (সংযুক্ত I এবং II যুক্ত)৷ এই সার্টিফিকেট বৈধতা সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে৷
প্যান কার্ডের জন্য আবেদন,আয়কর রিটার্ন দাখিল, করতে, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা কাজের ক্ষেত্রে, কোনও সরকারী ভর্তুকি পাওয়ার জন্য আধার কার্ড হ'ল একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি৷
কোনও পরিচয়পত্র বা ঠিকানার প্রমাণ ছাড়াই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করার জন্য যা করতে হবে-
আপনার অঞ্চলের নিকটতম আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে আধার তালিকাভুক্তি কিংবা আপডেট ফর্মের শংসাপত্র পূরণ করুন৷
ফর্মের শেষে, একটি বিভাগ রয়েছে যা কেবলমাত্র শংসাপত্র প্রদানকারী বা পরিচিতি কোনো ব্যক্তির দ্বারা পূরণ করতে হবে৷
শংসাপত্র প্রদানকারীকে তার নাম, পদবি, ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর লিখতে হবে৷
আধার নির্বাহীর কাছে ফর্ম জমা দিতে হবে৷
আপনার আঙুলের ছাপ, আইরিস স্ক্যান এবং ফটো দিতে হবে৷
এরপর এনরোলমেন্ট নম্বর সহ একটি স্বীকৃতি স্লিপ দেওয়া হবে৷
আপনার আধার তালিকাভুক্তির 90 দিনের মধ্যে পোস্টের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷