মুজফফরনগর: মহিলাদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়৷ বারেবারেই মহিলাদের পোশাক নিয়ে নীতি পুলিশিও নতুন নয়৷ মহিলারা কী পোশাক পরবেন, তা নিয়ে তুঘলকি আইন চলছেই৷ এবারের স্থান উত্তরপ্রদেশ৷ তবে এবার শুধু মহিলারা নন, পুরুষদের পোশাক বিধিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর এলাকার খাপ পঞ্চায়েতের তরফে একটি তুঘলকি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে৷ প্যান্ট, স্কার্ট পরতে পারবেন না কোনও মেয়ে। হাঁটুর ওপরে কোনও পোশাক পরলে সমাজ থেকে তাঁদের বয়কট করা হবে। এখানেই শেষ নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও হাঁটুর ওপরে প্যান্ট পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ধরনের পোশাক সমাজকে বিচলিত করে এবং সমাজের মূল্যবোধ নষ্ট করে বলে খাপ পঞ্চায়েত নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনে দাবি করেছে৷ ‘সমাজের ওপর প্রভাব’ সংক্রান্ত বিষয়ক একটি বৈঠকে এই নিদানের কথা জানান ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের সভাপতি৷
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের সভাপতির বক্তব্য, ‘হাঁটুর ওপর পোশাক পরা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েদের কখনওই হাঁটুর ওপরে স্কার্ট বা প্যান্ট পরা উচিত নয়। পুরুষদেরও হাঁটুর ওপরে প্যান্ট পরা উচিত নয়। যদি কেউ এই পোশাক বিধি না মানেন, তাহলে তাঁরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বেন।’ তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হবে না বলে জানিয়েছেন কিষাণ সংগঠনের সভাপতি। যদিও স্কুলে পরা শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁটুর ওপরে পোশাক পরাটাও দৃষ্টিকটূ বলেই মত তাঁর। তাঁর বক্তব্য, ‘স্কুলের বাচ্চাদের ইউনিফর্ম পরতে হয়। পঞ্চায়েতের সদস্যরা স্কুলগুলির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলবে, যাতে তারা বাচ্চাদের হাঁটুর ওপরে পোশাক পরা নিষিদ্ধ করে৷’
পোশাকের পাশাপাশি অবৈধ মদ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠক শেষে কিষাণ সংগঠনের সভাপতি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। কোনও প্রার্থী যদি গ্রামবাসীদের মদের বিনিময়ে ভোট কিনতে চান, সেক্ষেত্রে তা জানাজানি হলে, প্রার্থীকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।’ খাপ পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গোটা ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানতে পেরেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’