নয়াদিল্লি: নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ৩০০ বেশি কলেজের অনুমোদন দিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন, কলেজগুলিকে আগের থেকে আরও বেশি করে স্বয়াত্তশাসন দিতে হবে। তিনি মনে করছেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৩০০ বেশি কলেজ হলে অব্যবস্থা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- করোনা-মুক্ত অমিত শাহ, দ্রুত ফিরবেন কাজে
কোভিড পরবর্তী শিক্ষা বিষয়ক একটি ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে উপাচার্যকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কতগুলি কলেজ আছে। তিনি বললেন, ৮০০টি কলেজ আছে। প্রথমে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমি ভুল শুনছি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮০০টি কলেজ থাকলে, সেখানে উপাচার্য সকল অধ্যক্ষকে চিনবেন কি করে।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে মিলবে না করোনার প্রতিষেধক, লাগবে আরও ১ বছর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এর পর থেকে আমার মাথায় নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরতে থাকে। এতগুলো কলেজের গুনমানের ওপর উপাচার্যের নজর রাখা আদৌ সম্ভব নয়। তাছাড়া কোন কলেজের কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, সেটাও উপাচার্য সহজে ধরতে পারবেন না। তাই আমরা ঠিক করেছি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৩০০টির বেশি কলেজ রাখা হবে না। এর জন্য যদিন বিশ্ববিদ্যালয় বাড়াতে হয়, আমরা তাই করব। নয়া শিক্ষানীতির জেরে গ্রেডস স্বীকৃতি ব্যবস্থার মাধ্যমে কলেজগুলোকে ধাপে ধাপে স্বায়াত্ত্বশাসন দেওয়া হবে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে কলেজ গড়ে উঠবে। নিশাঙ্ক বলেছেন, আমাদের মোট ৪৫ হাজার কলেজ আছে। তার মধ্যএ মাত্র আট হাজার স্বয়াত্ত শাসিত কলেজ রয়েছে। আরও কলেজকে স্বয়াত্বশাসন দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এর ফলে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরও বাড়বে।