কোচি: খালি চোখে দেখা না মিললেও, কেরল উপকূলে সমুদ্রের মাঝখানে গুগল ম্যাপে একটি ছোট্ট দ্বীপ দৃশ্যমান৷ এই অদৃশ্য দ্বীপের খবর জানা যেতেই তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন- কী ভাবে হবে আনলক? চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র
সমুদ্রের বুকে কোনও দিন এই দ্বীপটি দৃশ্যমান ছিল না৷ কিন্তু গুগল ম্যাপে এই রহস্যময় ছোট্ট দ্বীপের ছবি স্পষ্ট দ্রষ্টব্য৷ গুগল ম্যাপের ছবিতে যা ফুটে উঠেছে, তাতে দ্বীপটি দেখতে অনেকটা কিডনির আকৃতির মতো৷ সদ্য ম্যাপে দৃশ্যমান দ্বীপটির আয়তন পশ্চিম কোচির প্রায় অর্ধেক৷ এটি উপকূল এলাকা থেকে সাত কিমি দূরে অবস্থিত৷ যদিও এখনও পর্যন্ত খালি চোখে একে দেখা যাচ্ছে না৷ এমনকি, কোনও ম্যাপেও কোচি উপকূলের ওই অংশে এই ধরনের কোনও দ্বীপের দেখা পাওয়ার খবর মেলেনি৷
গুগল ম্যাপে দৃশ্যমান এই রহস্যজনক দ্বীপকে নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও একরকম বিভ্রান্ত৷ তাঁদের অনেকে বলছেন, এই দ্বীপটি জলের তলায় ডুবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ চেল্লানাম করশিখা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এই অদৃশ্য দ্বীপটির বিষয় সবার আগে সকলের নজরে আনে৷ এই অদৃশ্য দ্বীপের কথা জানিয়ে ওই সোসাইটি কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য এবং সামুদ্রিক গবেষণা বিভাগকে একটি চিঠি লেখে৷ চিঠি পেয়েই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছেন কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য এবং সামুদ্রিক গবেষণা বিভাগের সদস্যরা৷
চেল্লানাম করশিখা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, এই দ্বীপটি গত চার বছর ধরে দৃশ্যমান এবং এর আয়তনে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি৷ এই সোসাইটির সভাপতি জেভিয়ার জুলাপ্পন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বালি জমে যে দ্বীপের মতো অংশ দেখা যাচ্ছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্র উপকূলের ক্ষয় রোধ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে৷ এই দ্বীপ আকৃতির অংশটি গঠনের কারণ খুঁজে বের করা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ তবে গুগল ম্যাপে দৃশ্যমান ছবিটি বাদ দিলে খালি চোখে অদৃশ্য দ্বীপ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি৷ ফলে ওই দ্বীপটির হদিশ না পাওয়া পর্যন্ত সেটি তৈরি হওয়ার কারণও খুঁজে বের করা অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷