আমি মৃত্যুকে অনুভব করতে চাই, ভিডিয়ো আপলোড করে আত্মঘাতী যুবক

আমি মৃত্যুকে অনুভব করতে চাই, ভিডিয়ো আপলোড করে আত্মঘাতী যুবক

c7e401f47391106a0c51c9ca88dbd970

বেঙ্গালুরু: সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে নিজের মাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল সে৷ সেই সঙ্গে চেয়েছিল মৃত্যুকে ‘অনুভব’ করতে৷ কীটনাশকের বোতল হাতে নিয়েই একটি ছোট্ট ভিডিয়ো রেকর্ড করে বছর ২৪ এর এক যুবক৷ সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মৃত্যু কেমন হয়, তা অনুভব করতে চাই৷ আমি নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করব৷’’ এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ অবশেষে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় তাকে৷ মৃত্যু হয় ধনঞ্জয় নামে ওই যুবকের৷

গত শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের টুমাকুরু জেলার কোরাটাগের তালুকে৷ জানা গিয়েছে, উপার্জন না করায় মায়ের কাছে লাঞ্ছিত হয়েই মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেয় ধনঞ্জয়৷ কীটনাশক কিনে এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো রেকর্ড করে সে৷ তার পরই কীটনাশক খায়৷ অবশ্য কীটনাশক খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরের দিন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার৷ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷

পুলিশ জানায়, এর আগেও একবার মৃত্যুকে ‘অনুভব’ করতে চেয়েছিল ধনঞ্জয়৷ বাইক নিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল একটি গাছে৷ কিন্তু সেবার প্রাণে বেঁচে যায়৷ সামান্য আঘাত লেগেছিল তার৷ এই ধরনের স্টান্ট করে নিজের জীবনের বিপদ যেন সে ডেকে না আনে, সে কথা বারে বারে তাকে বুঝিয়েছিল তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা৷ কিন্তু সে কথা কানে তোলেনি ধনজ্ঞয়৷ মৃত্যু কেমন, তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যায়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের মতামতও শেয়ার করত সে৷  

জানা গিয়েছে, ভাড়ায় নেওয়া একটি অটো রিক্সা চালাত ধনঞ্জয়৷ মাত্র চার মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তার৷ গ্রামবাসীদের দাবি, লকডাউনে উপার্জন একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ধনঞ্জয়৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল ধনঞ্জয়৷ মৃত্যু কেমন হয় সেটা বুঝতে চেয়েছিল সে৷ কিন্তু মৃত্যু চায়নি৷ তাই কীটনাশক খাওয়ার পর ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ধনঞ্জয়৷ মৃত্যুর ভয়ে বাড়িতে ছুটে আসে সে৷ তড়িঘড়ি এক বন্ধুকে খবর দেয়৷ সে এসে ধনঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ধনঞ্জয়ের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *