ভদোদরা: দিনে দুপুরে ভূতের তাণ্ডব! সারা দিন নাকি ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে৷ রাতের অন্ধকারে তো বটেই, ভূতের ঠেলা সহ্য করতে হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকেও৷ সারাক্ষণ তাণ্ডব করে বেড়াচ্ছে একদল ভূত বা প্রেতাত্মা৷ ভূতেদের হাত থেকে বাঁচতে তাই থানায় ছুটলেন বছর ৩৫-র ভরসঙ্গভাই বরিয়ালসো নামে এক যুবক!
আরও পড়ুন- ফের দিল্লি সফরে শুভেন্দু, রাজনীতির অলিন্দে বাড়ছে জল্পনা
ঘটনাটি গুজরাতের ভদোদরার৷ ভরসঙ্গভাইয়ের দাবি, সারা দিন তাঁকে ধাওয়া করছে একদল প্রেতাত্মা বা ভূত৷ রাতের অন্ধকার ঢুকে পড়ছে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে৷ শুধু তাই নয়, দিনে ক্ষেতে চাষ করতে গেলে বা অন্যান্য কাজ করার সময়েও দেখা মিলছে তাদের৷ ভরসঙ্গভাইয়ের এহেন অভিযোগ শুনে তাজ্জব পুলিশ৷ ভূতেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের তিনি৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ৷ তার পরেই বেড়িয়ে আসে আসল সত্যতা৷
এই ঘটনায় সবার আগে জেরা করা হয় ভরসঙ্গভাইকেই৷ তখনই তাঁর কথায় কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়৷ এর পর তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, এই ভুতুড়ে কাণ্ডের কথা বাড়ির লোককে কিছুই জানাননি তিনি৷ এমনকী ভরসঙ্গভাই যে থানায় চলে গিয়েছে, সেকথাও ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি তাঁরা৷ এর পর তাঁরাই জানান, আসবে মানসিক ভাবে অসুস্থ ভরসঙ্গভাই বরিয়ালসে৷ দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ কিন্তু গত ১০ দিন ধরে তাঁকে জোড় করেও ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব হয়নি৷ যার জেরেই এই মানসিক বিকৃতি৷
আরও পড়ুন- বাংলা বঞ্চনার শিকার! ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রকে তোপ মমতার
জানা গিয়েছে, ভরসঙ্গভাইকে একজন বড় ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়া হয়েছে৷ এবার থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলবে তাঁর৷ এখন থেকে ওষুধ খাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷