মুম্বই: এক বৃদ্ধকে দু’বার দু’ ধরনের করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের এক গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ ওই বৃদ্ধকে প্রথমবার কোভ্যাক্সিন এবং দ্বিতীয়বার কোভিশিল্ড দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের এক গ্রামীণ হাসপাতালে ৭২ বছরের বৃদ্ধকে দু’বার এই দু’ ধরনের টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে৷ সম্প্রতি এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। টিকাকরণে কী ভাবে এমন গুরুতর ভুল হল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার বাসিন্দা দত্তাত্রেয় বাগমারে। তিনি ২২ মার্চ করোনার প্রথম টিকা নেন। প্রথমবার তাঁকে ভারত বায়োটেকের তৈরি দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল করোনার দ্বিতীয় টিকাটি নেন বৃদ্ধ। যদিও প্রথমবার যেখান থেকে টিকা নিয়েছিলেন, সেখানে না গিয়ে অন্য এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন তিনি৷ কিন্তু কোভ্যাক্সিনের বদলে সেখানে তাঁকে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের ডোজ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বৃদ্ধের ছেলে দিগম্বর জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তাঁর বাবার সামান্য জ্বর, মাথা ব্যথার সমস্যা হয়। উৎকণ্ঠাও বাড়তে থাকে। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। তার পরেই টিকাকেন্দ্রের দেওয়া কাগজপত্র দেখে গন্ডগোলটি চোখে পড়ে বৃদ্ধের পরিবারের। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছে দত্তাত্রেয় বাগমারের পরিবার। দিগম্বর জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা পড়াশোনা জানেন না। আমিও খুব বেশি পড়াশোনা করিনি। আমার বাবাকে টিকা দেওয়ার আগে, তা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখা উচিত ছিল।’
আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে একই ব্যক্তিকে করোনার দু’ধরনের টিকা দেওয়া নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু’ধরনের টিকা দেওয়ার ফলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দু’ ধরনের টিকার প্রভাব করোনার ওপর কতটা পড়ে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।