মুম্বই: দেশের ধনী শিল্পপতি তিনি, এমনকি বিশ্বের ধনীদের তালিকাতেও প্রথম দশে ঘোরাফেরা করে তাঁর নাম। কিন্তু এহেন মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধেই আবার দেশের অভ্যন্তরেই কোথাও কোথাও দেখা যায় অসন্তোষ। বিশেষত, সম্প্রতি দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের আবহে আম্বানি আদানির মতো শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে সঞ্চিত ক্ষোভ বেড়েছে বলেই মনে হয়। আর এই অনুমানই যেন খানিক সত্যি প্রমাণিত হল বৃহস্পতিবার।
মুম্বাইতে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক গুচ্ছ বিস্ফোরক পদার্থ, এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রের খবরে। গতকাল এই ঘটনার পর বাণিজ্যনগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ২০টি জিলেটিন স্টিক ছাড়াও মুকেশ আম্বানির বাড়ি আন্তিলিয়ার সামনে থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি সন্দেহজনক গাড়ি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড ও এটিএস-এর কর্মীরা। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।
ঠিক কী হয়েছিল? মুম্বাই পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে সন্দেহজনক একটি গাড়ি দেখে প্রথম খবর দেন মুকেশ আম্বানির বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ গাড়িটি তদন্ত করে এবং সেখান থেকেই মেলে বিস্ফোরক জিলেটিন। দেশের শিল্পপতির বিরুদ্ধে বড় কোনো নাশকতার ছক কি কষা হয়েছিল মুম্বাইতে? দেশের মধ্যেকার কেউই কি এর সঙ্গে জড়িত? নাকি ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ ২৬/১১-র মতোই কোনো আন্তর্জাতিক চক্রান্ত থাকতে পারে এর পিছনে? সরজমিনে শুরু হয়েছে তদন্ত। চাঞ্চল্যের মাঝেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এদিন তিনি বলেন, “মুম্বাই পুলিশের অপরাধদমন শাখা বিষয়টির তদন্ত করছে।”
বস্তুত, মুকেশ আম্বানির বাড়ি তথা মুম্বাইয়ের আন্তিলিয়া বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় মূল্যবান বাড়ি। দামের বিচারে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরেই আন্তিলিয়ার স্থান। বিস্ফোরক উদ্ধারের পর থেকে আন্তিলিয়ার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনী। এছাড়া মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের কর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।