বিহার: ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, না শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প বা ঋত্বিক ঘটকের সিনেমা নয়৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে একসঙ্গে থাকার ফলস্বরূপ এবার নাবালকের ঘাড়ে চাপল সঙ্গীনি ও তাদের একমাত্র কন্যাসন্তানের যাবতীয় দায়দায়িত্ব৷
বিহারের একটি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৬ বছরের নাবালককেই দায়িত্ব নিতে হবে তার ‘লিভ ইন পার্টনার’ তথা সঙ্গীনি আর সদ্যোজাত সন্তানের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের এক নাবালকের বিরুদ্ধে ওই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় সোমবার নালন্দা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের প্রধান বিচারপতি মানবেন্দ্র মিশ্র রায় দেন, নাবালিকা ‘লিভ ইন পার্টনার’–এর দায়িত্ব নিতে হবে অভিযুক্ত নাবালককেই। ওই নাবালকের বয়স ১৬ বছর। নাবালিকা মেয়েটি তার ‘লিভ ইন পার্টনার’ তথা সঙ্গীনি৷ তবে মেয়েটি নাকি নাবালকের থেকে ১৮ মাসের বড়৷ তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। যার বয়স ৮ মাস ৷ নাবালিকার বাড়ি থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে ওই ছেলেটি। যদিও আদালতে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, নিজের ইচ্ছাতেই সে ওই ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল দিল্লিতে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘নাবালকের কাজটি আইনের চোখে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে৷ কারণ এতে তিনজন নাবালক-নাবালিকার জীবন নির্ভর করছে, অভিযুক্ত নাবালক, তার নাবালিকা লিভ-ইন পার্টনার এবং তাদের আট মাসের কন্যাসন্তান৷ এটি অবশ্যই একটি ব্যতিক্রমী রায় এবং কেউ যেন এর সুবিধা না নেয়৷’ আদালত অভিযুক্তের বাবা-মাকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই নাবালিকাকে যেন তাঁরা তাঁদের পুত্রবধূ এবং সদ্যোজাতকে নাতনির মতোই দেখেন এবং তাদের সমস্ত চাহিদাও যেন মেটান৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হিলসা থানায় ওই নাবালিকার বাড়ির লোকজন একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন৷ যেখানে বলা হয়, একটি স্থানীয় ছেলে, তার বাবা-মা এবং দাদার সহায়তায় ওই নাবালিকাকে অপহরণ করেছে৷ যদিও তদন্তকারী অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ওই নাবালকের দাদা এবং বাবা-মার যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ পাননি৷