নয়াদিল্লি: মার্চের শুরু থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গরম পড়তে শুরু করেছে। এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপমাত্রা ১২২ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তারমধ্যেই এপ্রিলের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টির দেখা মিলতে শুরু করেছে। তারমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় হলুদ সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া অফিস। মৌসুম ভবনের তরফে ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় হলুদ সতর্কতা। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ওড়িশার প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে এর প্রভাব পড়বে।
বুধবার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগরের ওপর একট ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণাবর্তটা দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর রয়েছে। ৬ তারিখ এই ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের মুখপাত্র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের যা পরিস্থিতি তা ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে অনুকূল। নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার পরেই বোঝা যাবে, তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ৮ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। দেশের পূর্ব উপকূলে এর প্রভাব সব থেকে বেশি দেখতে পাওয়া যাবে। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গল ও অন্ধ্র উপকূলে এর প্রভাব পড়বে। বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়বে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওড়িশাতেই এই ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ওড়িশা সরকারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলোকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও অবধি ঘূর্ণিঝড়ের দিক স্পষ্ট নয়। তবে আগাম সতর্কতা হিসেবে ওড়িশা সরকার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বাইরে যেতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।