নয়াদিল্লি: ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ‘আবাদি’। এ আবাদি শব্দটি অবশ্য চাষবাস সংক্রান্ত নয়, মানুষের জন্মহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হ্যাঁ, হু-হু করে বাড়ছে দেশের জনসংখ্যা। World Population Clock অনুযায়ী সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে ভারতের জনসংখ্যা। হ্যাঁ, বিশ্বের সব দেশের তুলনায়, এমনকী চিনের চেয়েও দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতে। অন্যদিকে, চিনে জনসংখ্যা কমতির দিকে। গত ৬ দশকে প্রথমবার চিনে জনসংখ্যা খানিক কমেছে। চিনের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স ব্যুরো প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-এর তুলনায় ২০২২ সালে চিনের জনসংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। ১৯৬১ সালের পরে এই প্রথম এমন ঘটনা সেদেশে।
এইমুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা ঠিক কত? চিনের জনসংখ্যাই বা কত? কবে নাগাদ ভারত জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে যাবে? জানব। তার আগে জেনে নিই, এইমুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা কত? জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের প্রথম চোদ্দটি দেশ কারা? জেনে রাখুন, এইমুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০১ কোটির উপরে। জনসংখ্যায় সবার উপরে চিন, তাদের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটির উপরে। এর পর ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, রাশিয়া, মেক্সিকো, জাপান, ইথিয়োপিয়া, ফিলিপিন্স এবং ইজিপ্ট। পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৩ কোটির উপরে এবং অষ্টম স্থানে থাকা বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটির কম।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। গত শতকের ছয়ের দশক থেকেই ভারত এই সেকেন্ড পজিশনটি ধরে রেখেছে। এইমুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা একশো সাড়ে একচল্লিশ কোটির উপরে। তবে আর মাত্র ৫ থেকে ৭ বছরেই চিনকে টপকে শীর্ষস্থানে উঠে আসবে ভারত। ইউনাইটেড নেশনস-এর বিশদ তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসেব দিচ্ছে ওয়ার্ল্ডোমিটার (Worldometer)। অবাক লাগছে তো? লাগারই কথা! ২০১১ সালে শেষবার ভারতে জনগণনা হয়েছিল। সেসময় ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটির উপরে। তার পর কোনও অজ্ঞাত কারণে আর আদমসুমারি হয়নি দেশে। কারণ যাই হোক, একদিকে, চিনের জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে, ভারতে জন্মের হার ক্রমবর্ধমান। মাত্র ১২-১৩ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে অন্তত ২০ কোটি। সবমিলিয়ে বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে পিছনে ফেলে দেবে ভারত।