নয়াদিল্লি: ১ মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য হল শ্রমিক শ্রেণি ও শ্রমিক আন্দোলন এবং তাদের জয়কে স্মরণ করা। অতীতের বিজয় স্মরণের পাশাপাশি শ্রমিকদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এই দিনের লক্ষ্য।
১৮৮৯ সালে ১ মে কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৮৬ সালে শিকাগোতে হেমার্কেট সংঘর্ষের কথা স্মরণে রেখেই ১ মেকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বের মানুষ শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। শ্রমিক অধিকারের প্রতীক হয়ে ওঠে এই দিনটি।
প্রসঙ্গত, আট ঘণ্টা কর্মদিবসের জন্য বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা ১ মে শান্তিপূর্ণ একটি সমাবেশ করে। কিন্তু মালিকপক্ষ তা মোটেও ভালোভাবে মেনে নেয়নি। ৪ মে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সারা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে।
মে দিবসে বিভিন্ন দেশে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই দিনটিকে কেউ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বলে থাকেন। কেউ আবার শ্রম দিবস বলে থাকেন। ভারতে শ্রম দিবস বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলায় এই দিনটিকে বলে শ্রমিক দিবস, হিন্দিতে বলে কামাগার দিন, কন্নড় ভাষায় বলে কারমিকারা কারমিকারা দিনচরানে। ভারতে প্রথম শ্রমিক দিবস ১৯২৩ সালে চেন্নাইয়ে হিন্দুস্তান লেবার কিসান পার্টি পালন করে।