নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক বছর ধরে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত খবর সবথেকে বেশি শিরোনামে রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্যান্য রোগের অবসান ঘটেছে। আর এই বিষয়টাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট। তাতে দাবি করা হয়েছে, ভারতে বিরাটভাবে বেড়েছে যক্ষ্মা রোগের প্রকোপ। যদিও সেই রিপোর্টের তথ্য মানতে নারাজ নয়াদিল্লি। দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের পাল্টা দাবি, অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারত অনেক ভালো জায়গায় আছে।
আরও পড়ুন-২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মতোই বিক্ষোভে ২০১৭-র উত্তীর্ণরা, ইন্টারভিউ ইস্যুতে বড় প্রশ্ন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট ঠিক কী বলছে? রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে দেশের যে যক্ষ্মা রোগী ছিল তার থেকে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১ সালে। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালে গোটা দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লক্ষ ৪০ হাজার জন। আরও চিন্তার বিষয় এই, ২০২১ সালে ২২ লক্ষ জনের যক্ষ্মা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতএব রোগীর সংখ্যা যে কী হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু এত কেন বৃদ্ধি ঘটল? ‘হু’-র দাবি, করোনার কারণে যক্ষ্মার মতো অনেক রোগের চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি, পিছিয়ে পড়েছে। রোগীরা অবহেলিত হয়েছে। তাই পরিসংখ্যানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
যদিও দেশের কেন্দ্রীয় সরকার এর ঠিক উলটো দাবিই করেছে। তাঁদের মতে, ২০২১ সালে প্রতি ১ লক্ষ জনে ১৮ শতাংশ কম আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। আর সারা বিশ্বের তুলনায় ৭ শতাংশ কম আক্রান্ত হয়েছে দেশে। ২০১৫ সালের পর থেকে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলেও দাবি।