নয়াদিল্লি: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশংকাকে সত্যি করে যত দিন যাচ্ছে ততই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে দেশে করোনার সংক্রমণ। একদিকে লাগামছাড়া দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, অন্যদিকে সুস্থতার হার কমে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানো, সবে মিলে আরও জোরালো হচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার দেশের করোনার দৈনিক সংক্রমণ ভাঙল ১৩০ দিনের রেকর্ড।
জানা যাচ্ছে, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৮,৮১৯ জন। এর সঙ্গেই জানা যাচ্ছে এদিন দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও নতুন রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের করোনার অ্যাক্টিভ কেস লাখের গণ্ডি পার করেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫৫৫। গত ২৪ ঘন্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৯৫৩ জন। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে কেরল (৪৪৫৯), মহারাষ্ট্র (৩৯৫৭) ও কর্ণাটক (১৯৪৫)।
তবে শুধু দৈনিক আক্রান্ত কিংবা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাই নয়, দেশজুড়ে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, করোনার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। জানা যাচ্ছে, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনার বলি হয়েছেন মোট ৩৯ জন। মৃত এই ৩৯ জনের মধ্যে ১৭ জন কেরলের বাসিন্দা, ৭ জন মহারাষ্ট্রের, চারজন উত্তরপ্রদেশের, দুজন বাংলার, দুজন হরিয়ানার, তিনজন পাঞ্জাবের, দুজন কর্ণাটকের এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে সিকিম ও রাজধানী দিল্লিতে।
অন্যদিকে গত একদিনে করোনামুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩,৮২৭ জন। আগের দিনের থেকে সুস্থতার হার কিছুটা বাড়লেও এখনও দেশের মোট সুস্থতার হার উদ্বেগজনক হারে কম। মূলত সেই কারণেই দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের বাড়বাড়ন্ত। অন্যদিকে দেশে করোনার সংক্রমনের হার তথা পজিটিভিটি রেটও উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই মুহূর্তে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। এদিকে দেশে সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.৬ শতাংশে।