সমস্তিপুর: বাবা মানেই মেয়েদের কাছে আবদারের জায়গা। মেয়েদের কাছে তাদের বাবারাই হয় প্রথম সুপার হিরো। সমস্ত আশ্রয়ের জায়গা সেই বাবা। কিন্তু সেই বাবা যদি ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বিহারের সমস্তিপুর থেকে ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পেশায় শিক্ষক। তিনি দিনের পর দিন ১৮ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেন এবং ক্রমাগত মেয়েকে হমকি দিয়ে যান।
দিনের পর দিন বাবা ধর্ষণ করে যেত মেয়েটিকে। মানসিক যন্ত্রণা আর নিতে পারত না মেয়েটি। মায়ের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু মা গুরুত্ব দেয়নি। একটি মেয়ের কাছে বা সন্তানের কাছে বাবা-মা সব থেকে কাছের হয়। যে কোনও বিপদে সন্তানের সামনে বাবা-মা ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। সেই বাবা ধর্ষণ করছে দিনের পর দিন। মায়ের কাছে নালিশ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। সম্পর্কিত কাকুর কাছে গিয়েছিল মেয়েটি সুবিচারের আশায়। কিন্তু কাকুর উপদেশ, এই বিষয়ে চুপ থাকা উচিৎ। মেয়েটির সহ্যের সীমা পার হয়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে সে কী করে চুপ থাকতে পারে। তাই তো যখন বাবা তাকে হেনস্থা করতে এসেছিল, লুকিয়ে মোবাইলের ক্যামেরাই ভিডিও করে রেখেছিল মেয়েটি। তারপরেই বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট করে। ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি।
সমস্তিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-য়ের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতা বার বার মা ও কাকুর কাছে অভিযোগ করেছিল। কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই মেয়েটি সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিল।