নভজোৎ সিং সিধুকে এক বছর হাজতবাসের সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট

নভজোৎ সিং সিধুকে এক বছর হাজতবাসের সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: সুপ্রিমকোর্টে রাম ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু। বৃহস্পতিবার ৩৪ বছরের পুরনো একটি মামলায় তাঁকে এক বছরের কারাবাসের সাজা শোনাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ১৯৮৮ সালে রোড রেজ কেসের অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সিধু। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন তাঁকে সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট।

চলতি বছরের প্রথম থেকেই বিতর্কের একেবারে শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা তথা কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু। পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরেই তাঁকে খোয়াতে হয় পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ। এরপর থেকেই দলে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে আবার উঠছে দল ছাড়ার গুঞ্জনও। এর মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেতে হল সিধুকে। ১৯৮৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের হয়।

ঘটনাটা আজ থেকে প্রায় ৩৪ বছর আগে হাজার ১৯৮৭ সালের। সেই সময় নভজোৎ সিং সিধুর ক্রিকেট ক্যারিয়ার সবে শুরু হচ্ছে। এর মধ্যেই বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে তিনি গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে  পরিস্থিতি হাতাহাতিতে পৌঁছালে সিধু ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় গুরনামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। তখনই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সিধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ করলেও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে তাঁকে সাজা শুনিয়েছে। আদালতে সিধুর আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়নি যে গুরণামকে মারধর করার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তেও হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আর তাই সেই কারণেই সিধুকে খুনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এম  খানউইলকর এবং বিচারপতি এসকে কৌলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে গুরণামের উপর চড়াও না হলেও সিধুর সঙ্গে হাতাহাতি-মারামারিতেই আচমকা মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সেই কারণেই এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে এটা যে গুরুতর একটা অপরাধ তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর সেই অপরাধকে গুরুত্ব দিয়েই প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে এক বছরের সাজার পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *