দু’দিনের মধ্যে হবে হিজাব মামলার শুনানি, সম্মতি দিলেন প্রধান বিচারপতি

দু’দিনের মধ্যে হবে হিজাব মামলার শুনানি, সম্মতি দিলেন প্রধান বিচারপতি

 

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টে শুরু হতে চলেছে হিজাব মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। মঙ্গলবার সিজিআই রামানা শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরাকে জানিয়েছেন, ‘দুদিন অপেক্ষা করুন আমি তালিকা করব।’  এই মীনাক্ষী আরোরাই হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং সম্প্রতি তিনি হিজাব মামলাটিকে জরুরি তালিকাভুক্তির আবেদন জানান।

চলতি বছরের শুরু থেকেই হিজাব প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল কর্ণাটক। স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হিজাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে। আর তাতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ, আন্দোলন। একাধিক স্কুলে ছাত্রীদের  বলপূর্বক হিজাব খুলিয়ে তবে স্কুলে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই হিজাব পরিধানকে ব্যক্তিগত অধিকার দাবি করে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার পড়ুয়া। কিন্তু তার পরেও গত মার্চ মাসে সরকারি আদেশকেই সম্মতি জামিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বা এই ধরনের কোন ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পোশাক পরেই স্কুল, কলেজে যেতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীর। গত ৩০ মার্চ এই পিটিশন দায়ের হয়। কিন্তু তারপরে একমাস কেটে গেলেও মামলাটি স্বাভাবিক নিয়মে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়নি বলে খবর। আর তাই এবার মামলাকারীরা ওই আবেদনটিকে জরুরি ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা যাচ্ছে মূলত দুটি কারণ উল্লেখ করে এই হিজাব মামলাকে জরুরি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বার্ষিক ইউপিএসসি পরীক্ষা চলছে এবং সেখানে যারা হিজাব খুলতে সম্মত হচ্ছে না সেই সমস্ত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং দ্বিতীয় কারণটি হল এই মুহূর্তে কর্নাটকে এমন হাজার হাজার মুসলিম শিক্ষার্থী রয়েছে যারা কর্ণাটক হাইকোর্টের দেওয়া এই রায়কে সমর্থন করে না এবং মূলত সেই কারণে তারা হিজাব খুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পারছে না। এতে তাঁদের ভবিষ্যৎ দিন দিন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে  হিজাব খুলে শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। 

 তবে এই প্রথম যে এই মামলাটিকে জরুরী তালিকায় নিয়ে আসার জন্য আপিল করা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। গত মাসেও এই একই আবেদন করা হয়েছিল প্রধান বিচারপতির কাছে। তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। সেই সময় সিজেআই বলেছিলেন পরীক্ষার সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। সুতরাং নিজস্ব নিয়মে এই মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *