নয়াদিল্লি: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। তাঁর মন্তব্যের কারণে তাঁকে দল সাসপেন্ড করেছে ঠিকই, কিন্তু দেশজুড়ে ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে হিংসার আঁচ পৌঁছে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় অশান্তি, বিক্ষোভ, বচসা, মারপিট। ইতিমধ্যেই একাধিক কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনগুলি। কিন্তু পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় এবার মুখ খুললেন আরও এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
আরও পড়ুন- আগামী বছর কবে উচ্চ মাধ্যমিক? দিনক্ষণ-সিলেবাস ঘোষণা সংসদের
লেখিকার একটি ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যেখানে তিনি লিখেছেন, ”আজ যদি হজরত মহম্মদ বেঁচে থাকতেন তাহলে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা যে ধর্মান্ধ হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে তা দেখা হতবাক হয়ে যেতেন।” আসলে ভারত তো বটেই বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশেও এই ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ইসলামিক দেশ ভারতের কাছে জবাব চেয়েছে এই বিষয়ে। কূটনৈতিক স্তরে বিরাট চাপে পড়েছে ভারত। যদিও ভারত সরকার আগেই জানিয়েছে যে ওই নেত্রীর বক্তব্য দেশের বক্তব্য নয়। কিন্তু ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার চেষ্টা করেও আপাতত লাভ হয়নি। এদিকে আবার একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীও ভারতকে হুমকি দিয়েছে। তালিবানও ‘কথা শুনিয়েছে’ দিল্লিকে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সুখকর নয়।
শেষ দু’দিন ধরে বাংলায় ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। হাওড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় পথ আটকে আন্দোলন, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ওইসব এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগামী সোমবার পর্যন্ত। আবার ১৫ জুন পর্যন্ত উলুবেড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে হিংসা ছড়ানো এবং পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে। ওদিকে, হজরত মহম্মদকে ‘অসম্মান’ করার প্রতিবাদে গতকাল রাঁচিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছিল। সেখানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর, ১০ জন গুরুতর আহত।